আমরা বিশুদ্ধ পানি চাই: হাইকোর্ট
২৪ জুলাই ২০১৯ ১২:৫৬
ঢাকা: ‘আমাদের দরকার বিশুদ্ধ পানি। আমরা বিশুদ্ধ পানি চাই। ওয়াসা যদি সমস্যা সমাধান করতে পারে তাহলে সেটাতো ভালো’।
বুধবার (২৪ জুলাই) ওয়াসার পানির দূষণ নিয়ে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই মন্তব্য করেন।
আদালতে শুনানিতে ওয়াসার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার এ এম মাসুম। রিট আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তানভীর আহমেদ।
পূর্ব নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী বুধবার (২৪ জুলাই) এ মামলাটি শুনানির জন্য ছিল। শুনানিতে ওয়াসার আইনজীবী এ এম মাছুম বলেন, সমন্বিত পানি পরীক্ষার প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল ফেকাল কলির্ফম পাওয়া গেছে। সেই প্রতিবেদনে কিছু সুপারিশ ছিলো সেগুলো বাস্তবায়ন করছি। সে সুপারিশ অনুসারে আইসিডিডিআরবি ও বুয়েটে আমাদের পানি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। পাতলা খান লেনের পানির রিপোর্ট পেয়েছি। তবে মিরপুরের রিপোর্টটা রোববার (২৮ জুলাই) পাব।
এ সময় রিটকারি আইনজীবী তানভীর আহমেদ বলেন, আদালতের আদেশের পরে পানি পরীক্ষার জন্য কমিটি গঠন করতে তিন মাস সময় লেগেছে। আজকে প্রতিবেদনের ওপর জবাব দাখিলের কথা ছিল।
তখন এএম মাছুম বলেন, একটা প্রতিবেদন হাতে এসেছে। মিরপুরেরটা রোববার আসবে। আসলে প্রতিবেদন দিয়ে দিবো।
এ সময় আদালত আইনজীবীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তারা (ওয়াসা) যদি সমস্যা সমাধান করতে পারে তাহলে ভালো। আমাদের দরকার পানি। বিশুদ্ধ পানি। আমরা বিশুদ্ধ পানি চাই। এটা নিশ্চিত করতে পারলে ভালো।
পরে আদালত এ মামলার পরবর্তী শুনানির জন্য ৩০ জুলাই দিন ঠিক করে দেন।
পানি পরীক্ষায় আদালতের নির্দেশে গঠিত চার সদস্যের কমিটির প্রতিবেদন গত ৭ জুলাই আদালতে উপস্থাপন করা হয়।
সেই প্রতিবেদনে ঢাকা ওয়াসার ৮টি বিতরণ জোনের পানিতেই ব্যাকটেরিয়া জনিত দূষণ রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। আদালত এ প্রতিবেদন সম্পর্কে ঢাকা ওয়াসা কর্তৃপক্ষের বক্তব্য জানতে চেয়ে ২৪ জুলাই আজকের তারিখ ঠিক করে দেন।
সমন্বিত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঢাকা ওয়াসার ৮টি বিতরণ জোনের পানিতেই ব্যাকটেরিয়া জনিত দূষণ পাওয়া গেছে। এছাড়া কমিটি ঢাকা ওয়াসার ১০টি বিতরণ জোনের বিভিন্ন এলাকা থেকে দৈবচয়ন ও দূষণের অভিযোগ রয়েছে এমন ৩৪টি স্থান থেকে নমুনা সংগ্রহ করে। এর মধ্যে ৮টি নমুনাতে ব্যাকটেরিয়াজনিত দূষণ পাওয়া গেছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বিতরণ জোন-১ এর পুরাণ ঢাকার পাতলাখান লেন, ৪-এর মিরপুরের কাজীপাড়া ও বিতরণ জোন-৭ এর শনির আখড়া, ধনিয়া থেকে সংগ্রহ করা পানিতে কলিফর্ম পাওয়া গেছে।
১৬ মে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের পক্ষে পানি পরীক্ষা বিষয়ক একটি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করে রাষ্ট্রপক্ষ।
সারাবাংলা/এজেডকে/জেএএম/জেডএফ