Friday 06 Jun 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ইসকনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন খারিজ


২৪ জুলাই ২০১৯ ১৬:০৪
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঢাকা: ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানার অভিযোগে আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘের (ইসকন) বিরুদ্ধে করা মামলার আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।

বুধবার (২৪ জুলাই) দুপুরে যাত্রাবাড়ীর হাবিবুর রহমান মিছবাহ দণ্ডবিধির ৩৪ এর ২৯৫/ক ধারায় অভিযোগ এনে ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে মামলার আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালতের হাকিম আবু সাঈদ আবেদনটি খারিজ করে দেন।

মামলায় আসামি করা হয়, আন্তর্জাতিক কৃষ্ণ ভাবনামৃত সংঘ (ইসকন), ইসকন চেয়ারম্যান শ্রীমৎ ভক্তিচারু স্বামী, সম্পাদক চারুচন্দ্র দাস চারী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জগৎ গুরু গৌরাঙ্গ দাস ব্রহ্মচারী, চট্টগ্রামের শ্রী কৃষ্ণ মন্দিরের অধ্যক্ষ শ্রী পাদ লিলারাজ গৌরদাস ব্রহ্মচারী, চট্টগ্রাম বিভাগীয় আঞ্চলিক সচিব শ্রী পাদ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী, চট্টগ্রাম শ্রী কৃষ্ণ মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক শ্রী পাদ দারুব্রহ্ম জগন্নাথ দাস ব্রহ্মচারী, চট্টগ্রাম ইসকনের ফুড ফর লাইফের পরিচালক পান্ডপ গোবিন্দ দাস ব্রহ্মচারী, রমেশ্বর পরমাত্মা দাস ও দারু ব্রহ্ম জগন্নাথ দাসকে।

বিজ্ঞাপন

মামলার আবেদনে যেসব অভিযোগ আনা হয়

অভিযোগ করা হয়, গত ৩০ জুন স্বামীবাগের প্রায় ৫শ বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী স্বামীবাগ মসজিদে মুসল্লিদের ওপর হামলা চালানো হয়। ইসকন সদস্যরা ভোর চারটা থেকে শুরু করে রাত ১২টা পর্যন্ত মাইক ব্যবহার করে উচ্চ শব্দে এলাকা কাঁপিয়ে ঢোল-বাদ্য বাজায়। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সময় ঢোল-বাদ্য বাজানো বন্ধ রাখার অনুরোধ করলে ইসকনের নেত্রীস্থানীয়রা তাতে রাজি হয়নি। বরং চরম দুর্ব্যবহার করে। এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বেধে গেলে পুলিশ ও র‌্যাব এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।

এতে আরও বলা হয়, ঈদুল ফিতরের আগের দিন রথযাত্রার নামে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেটের পাশের রাস্তায় আসামিরা উদ্দেশ্যেমূলকভাবে নানারূপ অঙ্গভঙ্গি, চেঁচামেচি এবং হৈ-হুল্লোর করে এবং উচ্চ শব্দে বাদ্যযন্ত্র বাজিয়ে অসহনীয় পরিস্থিতি সৃষ্টি করে।

অভিযোগ করা হয়, ফুড ফর লাইফ কর্মসূচির মাধ্যমে গত ৮ জুলাই থেকে ১৬ জুলাই চট্টগ্রামের স্কুলে স্কুলে প্রসাদ খাইয়ে শিক্ষার্থীদের ‘হরে কৃষ্ণ হরে রাম’ মন্ত্র পাঠ করাতে বাধ্য করে। অথচ সেখানকার শিশুদের অধিকাংশই মুসলমান। সিলেটের কাজলাশাহ মসজিদের পাশেও ইসকনের বাদ্যযন্ত্র ও মন্ত্র পাঠের কারণে নামাজ আদায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। নামাজের সময় বাদ্যযন্ত্র বাজানো বন্ধ রাখার অনুরোধ জানালে তারা পাল্টা হামলা চালায়। এতে ২০ জন আহত হয়।

আসামিদের এ রকম কর্মকাণ্ড পায়ে পারা দিয়ে ঝগড়া করার মতো উসকানিমূলক এবং তাদের কর্মকাণ্ডে বাদীসহ কোটি কোটি মুসলমানের ধর্মীয় অনুভূতিতে গুরুতর আঘাত করেছে। ইসকনের এহেন কর্মকাণ্ড দেশ ও সমাজের শান্তিপূর্ণ পরিবেশকে যে কোনো সময় অশান্ত করে তুলতে পারে। ফলশ্রুতিতে ইসকন বাংলাদেশের কর্মকাণ্ড বন্ধ করা অতীব জরুরি বলে আবেদনে উল্লেখ করেন বাদী।

ইসকন ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর