সিলেটে ‘জুতা’ নিয়ে বাক-বিতণ্ডায় সহপাঠীকে খুন (সিসিটিভি ফুটেজ)
২৫ জুলাই ২০১৯ ১৫:২৯
সিলেট: সিলেটে তুচ্ছ বিষয়ে কলহের জের ধরে সহপাঠীদের হামলায় তানভির হোসেন তুহিন (১৯) নামে এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। সে দক্ষিণ সুরমার আলমপুরস্থ কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের শিক্ষার্থী। বুধবার (২৪ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির সামনে এই ঘটনা ঘটে।
https://www.youtube.com/watch?v=TATjk_fHodY&feature=youtu.be
সিলেট মহানগর পুলিশের মোগলাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আখতার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, হামলার ঘটনায় ১০ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেছেন তুহিনের চাচা নিজাম উদ্দিন। এ মামলার প্রধান আসামি কামরান নামে এক শিক্ষার্থী পলাতক থাকলেও গ্রেফতার করা হয়েছে আবু কুদরত তায়েফ মামলার তৃতীয় আসামিকে।
এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা সারাবাংলাকে জানান, কম্পিউটার বিষয়ের শিক্ষার্থী তুহিন বুধবার সকালে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের নির্ধারিত স্থানে তার জুতা রেখে কম্পিউটার ল্যাবে প্রবেশ করে। ল্যাব থেকে বের হয়ে এসে নির্ধারিত স্থানে তার জুতার বদলে অন্য এক জোড়া জুতা দেখতে পায়। তার জুতা দেখতে পায় কামরানের পায়ে। এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে বাক-বিতণ্ডা হয়। পরে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের এক শিক্ষক বিষয়টি মীমাংসা করে দেন।
এরপর, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের বাইরে কামরান ও তার সহপাঠীরা তুহিনের ওপর হামলা চালায়। তার মাথায় কাঠ দিয়ে আঘাত করেন কোনো একজন। মাথায় আঘাত পেয়ে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। গুরুতর আহত তুহিনকে উদ্ধার করে প্রথমে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তুহিনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে দ্রুত ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। সন্ধ্যায় ভৈরবের কাছাকাছি তুহিন মারা যায়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সিলেট কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ ওয়ালিউল্লা মোল্লা সারাবাংলাকে বলেন, আমি ঢাকায় ছিলাম। সকালে দুই ছাত্রের মধ্যে তর্কাতর্কি থেকে একজনকে মারধর করা হয়েছে বলে শুনেছি। হামলার খবর পেয়ে আমাদের শিক্ষকরা আহত ছাত্রকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন।
গোলাপগঞ্জের লক্ষীপাশা ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান কবির আহমদ মুছন সারাবাংলাকে জানিয়েছেন, নিহত শিক্ষার্থী গোলাপগঞ্জ উপজেলার হেতিমগঞ্জের কোনাচর দক্ষিণভাগ পলিকাপন গ্রামের মানিক মিয়ার পুত্র। সিলেট ওসমানী হাসপাতালে মৃতদেহের ময়নাতদন্ত শেষে দুপুরে পরিবারের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হয়।