ঢাকা: সম্পত্তির লোভে ৭০ বছরের গুরুতর অসুস্থ ছায়াতুনন্নেছাকে তালাবদ্ধ করে রাখার অভিযোগ এনে তাকে উদ্ধারের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেছেন তার ছেলে। ওই বৃদ্ধাকে তার মেয়ে বাসায় আটকে রেখে নির্যাতন করছেন বলেও দাবি তুলেছেন ওই রিটকারি।
হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিট আবেদনটি করেছেন বৃদ্ধার একমাত্র ছেলে মো. জাহিদ রহমান রুবেল। তারপক্ষে আইনজীবী মো. জে আর খান রবিন।
পরে জে আর খান জানান, বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলম সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চে এ রিটের শুনানি হতে পারে।
রিট আবেদনে বৃদ্ধ ছায়াতুনন্নেছাকে হাইকোর্টে হাজির করার নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। পাশাপাশি গত ১৫ জুলাই ওই বৃদ্ধাকে তালাবদ্ধ অবস্থা থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসা সেবার দেওয়ার জন্য পুলিশের মহাপরিদর্শক বরাবরে করা আবেদন নিষ্পত্তির নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। এতে বিবাদী করা হয়েছে স্বরাষ্ট্র সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক, ঢাকা মহানগর পলিশ কমিশনার, নাজনীন বেগম রুচিসহ ৭জনকে।
রিটে বলা হয়েছে, ৭০ বছরের বৃদ্ধা ছায়াতুনন্নেছাকে তেজগাঁও এলাকার দক্ষিণ বেগুনবাড়ীর মাতৃছায়ার অ্যাপার্টমেন্টের ফ্ল্যাটে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক আটকে রেখেছেন মেয়ে নাজনীন বেগম রুচি (৪০)। গত রমজান থেকে সেখানে তাকে আটকে রেখে সম্পত্তি লিখে দেওয়ার জন্য চাপ দেওয়াা হচ্ছে। এতে রাজী না হওয়ায় তাকে নির্যাতন করছেন রিটের বিবাদী রুচি।
বাদী জানান, গুলশানের একটি স্কুলে চাকরি করেন রুচি । তিনি প্রতিদিন সকাল সাতটায় গুলশান যাওয়ার আগে মাকে নির্জন কক্ষে তালাবদ্ধ করে রেখে যান, বাসায় ফেরেন সন্ধ্যা সাতটায়। গত রমজানে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয় বৃদ্ধার। তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ও ওষুধ দেওয়া হচ্ছেনা। বাবা লুৎফর রহমান ২০০৭ সালের ১২ জুলাই মারা যান।
গত ৯ জুলাই রিট আবেদনকারী জাহিদ রহমান রুবেল মাকে দেখতে গেলে মাস্তান দিয়ে হত্যার হুমকি দেয় নাজনীন বেগম রুচি। এ ঘটনায় তিনি তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপর গত ১৫ জুলাই পুলিশের মহা-পরিদর্শকসহ চারজনের বরাবরে আবেদন করা হলেও কোন পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এ কারণে হাইকোর্টে তিনি রিট দায়ের করেন।
