মালদ্বীপে সাবেক প্রেসিডেন্ট, প্রধান বিচারপতি গ্রেফতার
৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১১:৫৭
সারাবাংলা ডেস্ক
ঢাকা : আদালত-সরকার দ্বন্দ্বের জেরে মালদ্বীপে জরুরি অবস্থা জারির পর দেশটির প্রধান বিচারপতি আবদুল্লাহ সাঈদ, সাবেক প্রেসিডেন্টসহ সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্রেসিডেন্ট আব্দুল্লাহ ইয়ামিন সোমবার রাতে দেশে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন।
মঙ্গলবার ভোরের দিকে পুলিশ সুপ্রিম কোর্ট এলাকা থেকে প্রধান বিচারপতি আব্দুল্লাহ সাঈদ, বিচারপতি আলী হামীদ ও জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাডমিনিস্ট্রেটর হাসান সাঈদকে গ্রেফতার করা হয়।
তার আগে মধ্য রাতে দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট মামুন আবদুল গাইয়ুম এবং তার মেয়ের জামাই মোহাম্মদ নাদিমকে তাদের মালের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
বিবিসি লিখেছে, তদন্ত কিংবা তাদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ আনা হয়েছে কিনা সে বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি। জরুরি অবস্থার মধ্যে গ্রেপ্তার হওয়ায় বিশেষ কোনো আইনি সুবিধাও তারা পাবেন না।
গত বৃহস্পতিবার মালদ্বীপের সুপ্রিম কোর্ট সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহামেদ নাশিদ এবং বিরোধী দলের ১২ এমপিকে সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে বিচার করে কারাদণ্ড দেওয়াকে ‘অসাংবিধানিক ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত’ বলে রায় দিয়ে তাদের মুক্তির নির্দেশ দেয়। কিন্তু প্রেসিডেন্ট ইয়ামিন সুপ্রিম কোর্টের আদেশ মানতে অস্বীকার করে পার্লামেন্ট অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করে দিলে মালদ্বীপে শুরু হয় রাজনৈতিক অস্থিরতা। প্রেসিডেন্ট ইয়ামিনকে ক্ষমতা থেকে সরানো বা ইমপিচ করার যে কোনো উদ্যোগ ঠেকানোর আদেশ দেওয়া হয় সেনাবাহিনীকে।
সোমবার রাতে সরকার ১৫ দিনের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করলে সংকট আরও ঘনীভূত হয়।
সন্ত্রাসবাদের অভিযোগে কারাদণ্ড পাওয়া বিরোধী দলের ১২ এমপির মধ্যে নয় জন কারাভোগ করছেন। স্বেচ্ছা নির্বাসনে থাকা আব্দুল্লাহ সিনান ও ইলহাম আহমেদ রোববার দেশে ফেরার পর বিমানবন্দর থেকে তাদেরও গ্রেফতারও করা হয়েছে।
কারাবন্দি নেতাদের মুক্তি দাবিতে দেশটির প্রধান বিরোধী দল মালদিভিয়ান ডেমোক্রেটিক পার্টি আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি দেশজুড়ে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছিল।
সারাবাংলা/একে