Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

যেকোনো মূল্যে ধান কেনা বাড়াতে হবে: কৃষিমন্ত্রী


৩০ জুলাই ২০১৯ ১৭:৪২

ঢাকা: যেকোনো মূল্যে আগামী বছর কৃষকের কাছ থেকে ধান কেনা আরও বাড়াতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। কৃষির উৎপাদন খরচ কমাতে সার, বিদ্যুৎ ও বিভিন্ন উপকরণে প্রণোদনা ও ভর্তুকি বাড়ানোর চিন্তাও চলছে। আর দেশের বাইরে চাল রফতানিতে সরকার ২০ শতাংশ নগদ প্রণোদনা দিতে চায় বলেও জানান মন্ত্রী।

মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) রাজধানীর বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন। কৃষি, খাদ্য ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যৌথভাবে ‘কৃষকদের নিকট থেকে সরাসারি ধান সংগ্রহ/প্রক্রিয়াকরণ, মিলারদের মাধ্যমে ক্রাসিং ও সংরক্ষণ এবং চাল রফতানি বিষয়ে করণীয়’ শীর্ষক এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার আয়োজন করে।

বিজ্ঞাপন

সভায় কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘আগামী বছর কৃষকের কাছ থেকে যেকোনো মূল্যে ধান ক্রয় বাড়াতে হবে। ধানের দাম না পেয়ে কৃষকরা এ বছর তো ক্ষেতে তেমন আগুন দেয়নি। পরিস্থিতি যদি এমন হয় আগামী বছর কৃষক ধান ক্ষেতে আরও বেশি আগুন দেবে। তাই এখন থেকেই সতর্ক থাকতে হবে। ধানের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে জাতীয় নীতি ঠিক করতে হবে।’

ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘উৎপাদন খরচ কমাতে আমরা প্রণোদনা দিচ্ছি। আমরা আরও প্রণোদনা বাড়াব। সারে ভর্তুকি বাড়ানোর চিন্তা রয়েছে। উৎপাদন খরচ কমাতে যান্ত্রিকীকরণ করতে হবে। কম্বাইন হারভেস্টারের দাম কম হলে ভালো কাজ করে না। সুদ কমালে একটা উপায় হতে পারে। বিদ্যুৎ বিল বা সেচের ক্ষেত্রে ভর্তুকি বাড়ানো যেতে পারে। এলাকাভিত্তিক এটা ঠিক করা যেতে পারে। একেক অঞ্চলের জন্য একেক রকম। ’

তিনি আরও বলেন, ‘একটি উপজেলায় ৪ থেকে ৫ লাখ টন ধান উৎপাদন হয়। আমরা সংগ্রহ করি মাত্র ৫ হাজার টন। এতে বাজারে তেমন প্রভাব পড়ে না। দেশের প্রতিটি মানুষ সরকারিভাবে আরও বেশি ধান ক্রয়ের পক্ষে। সরকারিভাবে ধান ক্রয় করলে এর উপকার কৃষকরাই পায়। সেটা লটারির মাধ্যমে হলেও। ‘

বিজ্ঞাপন

কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘এ বছর ৪ কোটি ১৩ লাখ টন খাদ্যশস্য উৎপাদন হয়েছে। বড় কোনো সমস্যা না হলে ফসলের কোনো ক্ষতি হবে না। বন্যা নেমে গেলে আউশের তেমন কোনো ক্ষতি না হলে উৎপাদন এমনই থাকবে। তাই রফতানি করলেও বেশি করব না- কম করব। কিন্তু আন্তর্জাতিক বাজারে থাকতে হবে।’

কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমাদের তো গুদাম নেই। এ বছর ২ লাখ টন চাল কিনেছি। ধান চাল ক্রয়ের ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সরকারের বিভিন্ন গোয়েন্দা সংসস্থাও সোচ্চার ‘

ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সমালোচনা করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘এফবিসিসিআই ও বিজিএমইএ-কে বলব, তারা গার্মেন্টস নিয়েই থাকুক। এখানে দাওয়াত দেওয়ার পরেও তাদের শীর্ষ পর্যায়ের কোনো নেতা আসেনি। কৃষক যাতে ধানের ন্যায্যমূল্য পায় সেজন্য তাদেরও কাজ করা উচিত। রফতানি বহুমুখীকররণের ক্ষেত্রে কৃষিপণ্য রফতানিতে সম্ভাবনা অনেক বেশি। অ্যাগ্রো বেইজড রফতানিতে দেশের ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসা উচিত।

অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, কৃষি সচিব নাসিরুজ্জামান, বাণিজ্য সচিব মফিজুল ইসলাম, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক, মিল মালিক ও বিভিন্ন রাইস মিল অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে বিভিন্ন পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে ‘কৃষকদের নিকট থেকে সরাসারি ধান সংগ্রহ/প্রক্রিয়াকরণ, মিলারদের মাধ্যমে ক্রাশিং ও সংরক্ষণ এবং চাল রফতানি বিষয়ে করণীয়’ শীর্ষক একটি কমিটি গঠিত হয়। এতে সব পক্ষের প্রতিনিধিত্ব থাকবে।

আরও পড়ুন: চালকল মালিকদের কেউ বিশ্বাস করে না: খাদ্যমন্ত্রী

কৃষিমন্ত্রী ধান ক্রয়

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর