বিজ্ঞাপন

চালকল মালিকদের কেউ বিশ্বাস করে না: খাদ্যমন্ত্রী

July 30, 2019 | 6:06 pm

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট

ঢাকা: চালকল মালিক বা মিলারদের কেউ বিশ্বাস করে না বলে মন্তব্য করেছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। তিনি বলেন, ‘ধান বা চালের বাজার পুরোটা মিলারদের ওপর ছেড়ে দেওয়া যাবে না। কারণ মিলারদের আমরা এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না।’

বিজ্ঞাপন

মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) রাজধানীর বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) এর সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক সভায় তিনি এসব কথা বলেন। কৃষি, খাদ্য ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যৌথভাবে ‘কৃষকদের নিকট থেকে সরাসারি ধান সংগ্রহ/প্রক্রিয়াকরণ, মিলারদের মাধ্যমে ক্রাশিং ও সংরক্ষণ এবং চাল রফতানি বিষয়ে করণীয়’ শীর্ষক এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার আয়োজন করে।

আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ধানের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে উৎপাদন সম্পর্কে তথ্য বিভ্রাট থাকা যাবে না। কৃষকরা আউশে প্রণোদনা পায়। এর পুরোটা কাজে লাগে না। আউশ থেকে প্রণোদনা উঠিয়ে দেওয়া উচিত। বোরো ও আমনে প্রণোদনা দেন। কারণ আউশের প্রণোদনার বার আনাই খেয়ে ফেলে। হয়তো চার আনা কাজে লাগে। ’

সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘কৃষকের উৎপাদন খরচ কমাতে কৃষি যান্ত্রিকীরণ করতে হবে। আমরা এখনও সে জায়গায় আসতে পারিনি। কৃষকের জন্য সুদমুক্ত ঋণের ব্যবস্থা করতে হবে। খাদ্যশস্য উদ্বৃত্ত থাকায় রফতানিতে যেতে হবে। গুদামের সক্ষমতা বাড়াতে হবে। ’

বিজ্ঞাপন

খাদ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা মিলারদের কাছে পুলিশ পাঠাই, চাল জব্দ করি। এখন বলছি গুদামে ১০ শতাংশ সরকারি ধান রাখতে হবে। বাণিজ্যিক চিন্তা করতে হবে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সেটাই করছি না। কৃষককে ন্যায্যমূল্য দেওয়ার জন্য আমাদের গুদাম নেই। মিলারদের কাছে রাখতে চাচ্ছি। কিন্তু কতদিন তাদের কাছে রাখব? প্রতিনিয়তই তো উৎপাদন বাড়বে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ধান-চাল আমদানি-রফতানিতে সীমা থাকা উচিত। এছাড়া চাল রফতানির ক্ষেত্রে ২৫ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়া উচিত।’

সভায় কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক, কৃষি সচিব নাসিরুজ্জামান, বাণিজ্য সচিব মফিজুল ইসলাম, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মহাপরিচালক, মিল মালিক ও বিভিন্ন রাইস মিল অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন: যেকোনো মূল্যে ধান কেনা বাড়াতে হবে: কৃষিমন্ত্রী

সারাবাংলা/ইএইচটি/পিটিএম

Tags: , ,

বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন