জেলা-উপজেলায় আইসিইউ নেই, তবে ডেঙ্গু চিকিৎসায় গাইড লাইন আছে
৩১ জুলাই ২০১৯ ১৯:১৩
ঢাকা: বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন বলেন, ঈদের ছুটিতে অনেকে ঢাকা ছেড়ে যাবেন। তাদের সতর্ক থাকতে হবে। বাড়ি গিয়ে তারাও আক্রান্ত হতে পারেন।
তিনি বলেন, আরেকটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে, জেলা ও উপজেলায় নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) সার্পোর্ট নেই। তবে বিএমএ’র পক্ষ থেকে সব চিকিৎসকদের সমন্বিত চিকিৎসার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ঢাকার বাইরের চিকিৎসকদের গাইড লাইন দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৩১ জুলাই) দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক একেএম নাসির উদ্দিন বলেছেন, এ বছর ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। আমাদের কাছে আগাম বার্তা ছিল বলে অনেক চিকিৎসক-নার্সদের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করেছি আমরা।
তিনি জানান, জানুয়ারি থেকে ঢামেক হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী আসা শুরু করে। তিনজন রোগী ভর্তি হয়েছিলেন, তারা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। ফেব্রুয়ারি মাসে কোনো রোগী আসেনি। মার্চ মাসে চারজন রোগী ভর্তি হয়েছিলেন। তারাও সুস্থ হয়ে ফিরে গেছেন। এপ্রিল মাসে তিনজন ভর্তি হন; মে মাসে আটজন। জুন মাসে রোগীর সংখ্যা বেড়ে যায়। ১৩৫ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন। এর মধ্যে একজন মারা গেছেন। বাকিরা সুস্থ হয়ে ফিরে গেছেন। জুলাই মাসে ২ হাজার ২৪২ জন রোগী ভর্তি হন। এর মধ্যে ১ হাজার ৫৮১ জন রোগী সুস্থ হয়ে ফিরে গেছেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন নয়জন, জরুরি বিভাগে মারা গেছেন একজন।
নাসির উদ্দিন জানান, ডেঙ্গু মোকাবিলায় সব ব্যবস্থা আমাদের আছে। প্রয়োজনে শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট খুলে দেওয়া হবে। সেখানে এক হাজার রোগীকে ভর্তি রাখার সুযোগ রয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, হাসপাতাল এলাকায় যেসব জায়গায় ময়লা-আবর্জনা রয়েছে সেগুলো পরিষ্কার করার উদ্যোগ আমরা নিয়েছি। একজন রোগীর সঙ্গে তিনজন থাকেন। তারা হাসপাতালেই খাওয়া-দাওয়া করেন।