ঢাকা: আজ বৃহস্পতিবারের (১ আগস্ট) মধ্যেই বিশেষ বিমানে করে মশা নিধনের নতুন ওষুধের নমুনা দেশে আসবে বলে হাইকোর্টকে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আইনজীবীরা। এছাড়া নতুন ওষুধের নমুনা কার্যকারিতা পরীক্ষার জন্য মহাখালীর একটি ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হবে বলেও জানান তারা।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি তারিক উল হাকিম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দীর হাইকোর্ট বেঞ্চে দুই সিটি করপোরেশনের আইনজীবীরা এ তথ্য জানান।
আদালতে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী সাঈদ আহমেদ রাজা, উত্তর সিটি করপোরেশনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী তৌফিক ইনাম টিপু। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাঈনুল হাসান ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সায়রা ফাইরোজ।
আরও পড়ুন- এক সপ্তাহের মধ্যে মশা নিধনে সঠিক ওষুধ চাই: হাইকোর্ট
গত ২৫ জুলাই ওষুধের ডোজ বাড়িয়ে দিয়ে এডিস মশা নির্মূল ও ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে গত ৩০ জুলাই পর্যন্ত সময় দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এই সময়ের মধ্যে ওষুধ ব্যবহারে মশা নিধনের হয়েছে কি না, সে বিষয়েও প্রতিবেদন দাখিল করতে বলেছিলেন আদালত।
কিন্তু মশা নিধনে কার্যকর ফলাফল না পাওয়ায় এডিস মশা নিধনে কার্যকর ওষুধ কবে দেশে আসবে তা সরকার ও ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনকে আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ২টার মধ্যে জানানোর নির্দেশ দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। এর ধারাবাহিকতাতেই দুই সিটি করপোরেশনের আইনজীবী হাইকোর্টকে বিষয়টি অবহিত করেন।
এর আগে গত সোমবার (২২ জুলাই) ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়াসহ অন্যান্য মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে জমা দেওয়া প্রতিবেদনে আদালত সন্তোষ না হওয়ায় দুই সিটির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে তলব করেন হাইকোর্ট। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালতে হাজির হন ঢাকার দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (ডা.) মো. শরীফ আহমেদ ও উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোমিনুর রহমান মামুন। তাদের কাছে এক সপ্তাহের মধ্যে ওষুধ কেনার প্রক্রিয়ার কথা জানতে চান হাইকোর্ট।
গত ১৪ জুলাই স্বতঃপ্রণোদিত এক আদেশে আদালত বলেন, ডেঙ্গু-চিকুনগুনিয়াসহ অন্যান্য মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। একইসঙ্গে নাগরিকদের ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়াসহ মশাবাহিত রোগে আক্রান্ত হওয়া বন্ধ করতে এবং এডিস মশা নির্মূলে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তা কেন আইন বর্হিভূত হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারিও করেন আদালত।