ঠাকুরগাঁওয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় ৮ বাসযাত্রীর মৃত্যু
২ আগস্ট ২০১৯ ০৯:৫৬
ঠাকুরগাঁও: ঠাকুরগাঁওয়ের যাত্রীবাহী দুই বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে স্বামী-স্ত্রীসহ ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন অন্তত আরও ৩০ জন। আহতদের ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা। এর মধ্যে গুরুতর আহতদের রংপুর ও দিনাজপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার (২ আগস্ট) সকাল পৌনে ৮টার দিকে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার খোঁচাবাড়ি কুমিল্লাহাড়ী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।দুর্ঘটনার পর থেকেই রংপুর-দিনাজপুর মহাসড়ক বন্ধ ছিল। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস পরে বাস দুইটি সড়ক থেকে সরিয়ে নিলে সকাল ১১টার দিকে সড়কে যানচলাচল স্বাভাবিক হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সদস্যরা জানান, শুক্রবার সকালে ঠাকুরগাঁও থেকে দিনাজপুরের উদ্দেশে ছেড়ে যায় নিশাদ পরিবহনের একটি বাস। ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা নৈশ কোচ ডিপজল পরিবহনের একটি বাসের সঙ্গে কুমিল্লাহাড়ী এলাকায় সংঘর্ষ হয় নিশাদ পরিবহনের ওই বাসের। এতে ঘটনাস্থলেই পাঁচ বাসযাত্রী মারা যান। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আরও দুই জন, হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান আরও একজন।
নিহতদের মধ্যে তিনজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। নিহতরা হলেন সদর উপজেলার আকচা গ্রামের আব্দুল মজিদ (৬০), বালিয়াডাঙ্গী শহীদ আকবর আলী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কলেজের ছাত্র আব্দুর রউফ (২৩) ও সদর উপজেলার খোচাবাড়ি গ্রামের ক্ষিতিশ চন্দ্র রায় (৪৭) । অন্য নিহতদের মধ্যে দুইজনের বাড়ি বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বেংরোল গ্রামে, ৩ জনের বাড়ি সনগাঁও গ্রামে এবং ১ জনের বাড়ি লাহিড়ী গ্রামে। তবে
আহত যাত্রীদের বেশিরভাগ ঠাকুরগাঁও সদর ও বালিয়াডাঙ্গী এবং দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার বাসিন্দা। আহতদের ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে য়েকজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এরা হলেন- আনোয়ার , জিনিয়া, বেলাল, কমলা, আবুল কাশেম, বিশ্বাস রায়, অখিল চন্দ্র রায়, কার্তিক ,সোহেল, ফরিদুল, রেজাউল, জেবুন নেছা, সাথি , মিলন,আব্দুল হামিদ, আতিকুর , একতা।
সদর উপজেলা জগন্নাথপুর ইউপি সদস্য আনিসুর রহমান সারাবাংলাকে জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ডিপজল পরিবহন নামের নৈশ কোচের চালকের অসর্তকতার জন্য এ দুর্ঘটনা ঘটে। ইউপি সদস্য জানান, নিশাত পরিবহন বাসের মালিক ঠাকুরগাঁওয়ের মিন্টু । মিন্টুর বাড়ি আশ্রম পাড়া মহল্লায় ।
ঠাকুরগাঁওয়ের ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম সারাবাংলাকে বলেন, দুই বাসের সংঘর্ষে আটজনের মৃত্যু হয়েছে। আহতদের সবাইকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। মহাসড়কে আপাতত যানচলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।
দুর্ঘটনার পর ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক কে. এম কামরুজ্জামান সেলিম, ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার, ঠাকুরগাঁও সদরের উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা আব্দুল আল মামুন, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশিকুর রহমান ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজের তদারকি করেন।