ঢাকা: জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাতে আমরা জুলাই গণহত্যার বিচার, জুলাই সনদ প্রকাশ এবং গণপরিষদ ও আইনসভা নির্বাচন- এই তিন বিষয়ে সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ চেয়েছি। এছাড়া শেখ হাসিনার সময় হওয়া জাতীয় নির্বাচনসহ সকল নির্বাচনকে অবৈধ ঘোষণার দাবিও করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
শনিবার (২৪ মে) রাতে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘জুলাই মাসের মধ্যেই সনদ আসতে পারে বা আসবে- এমন প্রত্যাশা আমাদের দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। আমরা বলেছি, আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলনে জুলাই ঘোষণাপত্র বাস্তবায়নের দাবি ছিল। সরকারের পক্ষ থেকে ঘোষণা ছিল ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যেন জুলাই ঘোষণাপত্র ঘোষণা করা হয়।’
তিনি বলেন, ‘দ্বিতীয়ত, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যারা শহিদ হয়েছেন সেই শহিদদের পরিবার এবং আহত যারা হয়েছেন, তাদের যে পুনর্বাসন প্রক্রিয়া, সেটা ধীর গতিতে এগোচ্ছে। গণঅভ্যুত্থান অধিদফতর থেকে যে সঞ্চয়পত্র দেওয়া হয়েছিল সেই সঞ্চয়পত্র এখনো শহিদ পরিবার পায়নি। বেসিক ভাতা দেওয়ার কথা ছিল, সেই ভাতা দেওয়া এখনো শুরু হয়নি। আমরা বলেছি, যাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে প্রতিশ্রুতি ও সকল দাবি পূরণ করা হয়। আর্থিক সহায়তাসহ পুনর্বাসনের সেই দাবিগুলো যেন পূরণ করা হয়, সে বিষয়ে আমরা দাবি জানিয়েছি।’
এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘তৃতীয়ত, শেখ হাসিনার সময় হওয়া জাতীয় নির্বাচনসহ সকল নির্বাচনকে আমরা অবৈধ ঘোষণা করতে বলেছি। সেই সময়ে শেখ হাসিনা একটি ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থা প্রয়োগ করেছিল এবং মানুষের ভোটাধিকার হরণ করেছিল। রাতে ভোট হয়েছে, ডামি প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছে। ফলে সেই নির্বাচনগুলো প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। ওই সময়ে বিরোধীদলগুলো নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছিল। সুতরাং সেই নির্বাচনগুলোকে আইনগতভাবে যেন অবৈধ ঘোষণা করা হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘এছাড়াও আমরা বলেছি যে, এই ইলেকশন কমিশনের ওপর আমরা আস্থা রাখতে পারছি না। তাই ইলেকশন কমিশন পুনর্গঠন করে যাতে স্থানীয় সরকার ইলেকশন দ্রুত আয়োজন করা হয়, সে বিষয়ে আমরা আহ্বান জানিয়েছি।’
নাহিদ বলেন, ‘এই তিনটির সম্মিলিত একটি পরিকল্পনা যাতে সরকার ঘোষণা করেন এবং আমাদের যে প্রতিশ্রুতি ছিল জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বিচার, সেটি দ্রুতই বাস্তবায়ন হওয়া সম্ভব বলে আমরা জানিয়েছি।’