ট্রেনে কাটা পড়ে গৃহবধূর মৃত্যু, পরিবারের দাবি আত্মহত্যা
২ আগস্ট ২০১৯ ১৯:২৪
জয়পুরহাট: জয়পুরহাটে ট্রেনে কাটা পড়ে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। পরিবারের দাবি, সালিশি বৈঠকে মারধরের ঘটনায় ওই গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন। মৃত গৃহবধূ নার্গিস সদর উপজেলার চকমোহন গ্রামের মামুনুর রশীদের মেয়ে।
শুক্রবার (২ আগস্ট) সকালে জয়পুরহাট সদর উপজেলার বনখুর এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে।
মৃত নার্গিসের বাবা মামুনুর রশীদ সারাবাংলাকে জানান, দুই মাস আগে চকমোহন গ্রামের বাসিন্দা সুভাষ পাহানের ছেলে অজিত পাহানের সঙ্গে নার্গিসের প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে। কিছুদিন আগে অজিত পাহান ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে এক লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকা দেনমোহরে জয়পুরহাট আদালতে এফিডেফিট করে আমার মেয়েকে বিয়ে করে।
এর আগে, নার্গিসের আরেকবার বিয়ে হয়েছিল, সেইপক্ষে তার পাঁচ বছরের একটি মেয়ে রয়েছে। গত বৃহস্পতিবার মোহাম্মাদাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান বিয়ে নিয়ে সালিশি বৈঠকে আমার মেয়েকে মারধর করে। এই অপমান নার্গিস সহ্য করতে না পেরে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
তবে মোহাম্মাদাবাদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আতাউর রহমান এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি সারাবাংলাকে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার সকালে আমার কাছে তথ্য আসে একটি বিয়েকে কেন্দ্র করে স্থানীয় মুসলমান ও আদিবাসিদের মধ্যে সংঘর্ষ হতে পারে। সংঘর্ষ এড়াতে নার্গিস ও অজিতকে নিয়ে আমরা ইউনিয়ন পরিষদে একটি সালিশি বৈঠক করি। বৈঠকে নার্গিস উপস্থিত সবার সাথে খারাপ আচরণ করলে আমরা তাকে কিছুটা শাসন করি, কিন্তু মারধরের অভিযোগ সঠিক নয়। বৈঠক শেষে নার্গিস চলে যায়, পরে জানতে পারি সে ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছে।’
জয়পুরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিদ্দিকুর রহমান সারাবাংলাকে জানান, ট্রেনে কাটা পড়ে এক গৃহবধূ মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে সান্তাহার রেলওয়ে পুলিশকে হস্তান্তর করেছে। কিন্তু থানায় এখন পর্যন্ত সালিশি বৈঠকে মারধরের কোনো অভিযোগ আসেনি। অভিযোগ পেলে এ বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জয়পুরহাট ট্রেনে কাটা পড়ে গৃহবধূর মৃত্যু পরিবারের দাবি আত্মহত্যা সালিশি বৈঠক