Thursday 12 Dec 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মুসা বিন শমসেরের মুদ্রা পাচার মামলার প্রতিবেদন ১১ সেপ্টেম্বর


৪ আগস্ট ২০১৯ ১৪:৫৭ | আপডেট: ৪ আগস্ট ২০১৯ ১৫:০৬

ফাইল ছবি: মুসা বিন শমসের

ঢাকা: মুসা বিন শমসেরের বিরুদ্ধে মুদ্রা পাচারের অভিযোগে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের দায়ের করা মামলায় নির্ধারিত দিনে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে পারেননি তদন্ত কর্মকর্তা। এর পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ১১ সেপ্টেম্বর এই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য নতুন দিন ঠিক করেছেন আদালত।

রোববার (৪ আগস্ট) তদন্ত কর্মকর্তা প্রতিবেদন জমা না দেওয়ায় এদিন মহানগর হাকিম দেবদাস চন্দ্র অধিকারী নতুন দিন ঠিক করেন।

বিজ্ঞাপন

শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা (এআরও) মো. জাকির হোসেন রাজধানীর গুলশান থানায় মুদ্রাপাচার প্রতিরোধ আইনে প্রিন্স মুসার বিরুদ্ধে ওই মামলা করেন। মামলার বাকি তিন আসামি হলেন— মো. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী, বিআরটিএ ভোলা জেলা সার্কেলের সহকারী পরিচালক প্রকৌশলী আইয়ুব আলী আনছারী ও মেসার্স অটো ডিফাইন নামে গাড়ি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের মালিক মো. ওয়াহিদুর রহমান।

গত বছরের ২১ মার্চ মুসার ছেলের শ্বশুরবাড়ি থেকে শুল্ক ফাঁকি দিয়ে একটি গাড়ি উদ্ধার করেন শুল্ক গোয়েন্দা কর্মকর্তারা। তার পর মুসাকে কাকরাইলে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের কার্যালয়ে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে মুসা বিন শমসের লিখিতভাবে জানান, সুইস ব্যাংকে তার ৯৬ হাজার কোটি টাকা গচ্ছিত আছে। তবে তিনি এই টাকার কোনো ব্যাংক হিসাব বা বৈধ উৎস দেখাতে পারেননি।

ওই ঘটনায় তদন্ত ও জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে প্রিন্স মুসার বিরুদ্ধে মামলা করতে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) সুপারিশও করে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। পাশাপাশি কর ফাঁকি দেওয়া অর্থপাচারের অভিযোগে মামলার অনুমতি চাওয়া হয় রাজস্ব বিভাগের কাছে। অনুমতি পাওয়ার পর মামলাটি করা হয়।

বিজ্ঞাপন

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ভোলা বিআরটিএ’র কয়েকজন কর্মকর্তার যোগসাজসে ভুয়া কাগজ দিয়ে ওই গাড়ি রেজিস্ট্রেশন এবং বেনামে অবৈধ আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। মুসা বিন শমসের ১৭ লাখ টাকা শুল্ক পরিশোধ দেখিয়ে ভুয়া বিল অব এন্ট্রি প্রদর্শন করে গাড়িটি বেনামে রেজিস্ট্রেশন করেন। শুল্ক গোয়েন্দার অনুসন্ধানে দেখা যায়, ওই গাড়িতে ২ কোটি ১৭ লাখ টাকার শুল্ক প্রযোজ্য।

মুসা বিন শমসের শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর শুল্ক ফাঁকি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর