ফের পেছাল ছিনতাইয়ের মামলায় পুলিশ কর্মকর্তাসহ ২ জনের রায়
১৯ আগস্ট ২০১৯ ১৩:২৯
ঢাকা: রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানা এলাকায় প্রায় পনের লাখ টাকা ছিনতাই করার অভিযোগে দ্রুত বিচার আইনের দায়ের করা মামলায় পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শকসহ (এএসআই) দুইজনের মামলার রায় ঘোষণার তারিখ ফের পিছিয়েছে। আগামী ১৯ সেপ্টেম্বর রায় ঘোষণার নতুন তারিখ ধার্য করেছেন আদালত।
সোমবার (১৯ আগস্ট) মামলাটি রায় ঘোষণার জন্য ধার্য ছিল। কিন্তু এদিন রায় প্রস্তুত না হওয়ায় ঢাকার দ্রুত বিচার আদালত-৩ এর বিচারক দেবদাস চন্দ্র অধিকারী রায় ঘোষণার তারিখ ফের পিছিয়ে নতুন করে এ দিন ঠিক করেন। গত ৩ জুলাই একই কারণে রায় ঘোষণার তারিখ পেছানো হয়।
সংশ্লিষ্ট আদালতের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর আজাদ রহমান সারাবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
অভিযুক্ত আসামিরা হলেন- উত্তরা পূর্ব থানা পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আলমগীর হোসেন (সাময়িক বরখাস্ত) এবং মাছুম বিল্লাহ। আলমগীর যশোর জেলার ঝিকরগাছা থানাধীন কীর্তিপুর গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে। অন্যদিকে মাসুম বিল্লাহর বাড়ি ঢাকার দোহার থানাধীন উত্তর শিমুলিয়া গ্রামে। আসামিরা সবাই জামিনে রয়েছে।
মামলার অভিযোগে থেকে জানা যায়, মামলার বাদী মো. ইলিয়াস ২০১৭ সালের ৪ এপ্রিল বিকাল ৩ টার দিকে তিনি রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানাধীন রাজলক্ষ্মী মার্কেটের সামনে গাড়ির জন্য দাঁড়িয়ে ছিলেন। এরপর হঠাৎ ঢাকা মেট্টো-গ-১৯-০৯৭০ নম্বরের সাদা একটি প্রাইভেট কার তার সামনে থামে। গাড়ি থেকে কয়েকজন লোক নেমে ডিবি পরিচয়ে দিয়ে তাকে গাড়িতে তুলে নেয়। এরপর তারা তার কাছে থাকা মানি এক্সচেঞ্জের ১৮ হাজার ৮০০ ইউএস ডলার যার বর্তমান বাংলাদেশের বাজার মূল্য ১৫ লাখ ৪ হাজার টাকা তা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।
ওই সময় ইলিয়াসের চিৎকারে আশপাশের লোকজন জড়ো হলে আসামিরা তাদের ওপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু উপস্থিত জনতা গাড়ি আটকে মাসুম বিল্লাহকে আটক করে এবং অপর ৪ জন পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ মাসুম বিল্লাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে সে এএসআই আলমগীর হোসেন, হাবিব ডলার, রাশেদ ও সুমন জড়িত বলে জানায়। পুলিশ মাসুম বিল্লাহকে জিজ্ঞাসাবাদের সূত্র ধরে এএসআই আলমগীরকে গ্রেফতার করেন। পরে তাকে রিমান্ডে নেয় পুলিশ। আসামি মাসুম বিল্লাহ আদালতে দোষ স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেন।
২০১৭ সালের ১৬ এপ্রিল মামলাটি তদন্ত করে ডিবি পুলিশের উপ-পরিদর্শক মো. নূরে আলম সিদ্দিক আলমগীর হোসেন এবং মাসুম বিল্লাহর বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। তবে অভিযোগপত্রে হাবিব ডলার, রাশেদ, মো. সুমন ও সজলকে অব্যাহতির আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। একই বছরের ১৯ জুন ওই দুই আসামির বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত। মামলাটির বিচারকাজ চলাকালে আদালত চার্জশিটভুক্ত ১৬ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।