Saturday 07 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

আদালতে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন ভোলার এসপি


২০ আগস্ট ২০১৯ ১২:৫৫

ঢাকা: আদালতে নিঃশর্ত ক্ষমা চেয়েছেন ভোলার পুলিশ সুপার (এসপি) সরকার মো. কায়সার। যথাযথ প্রক্রিয়ায় আদালতে তথ্য না দেওয়ায় তাকে হাইকোর্ট বিভাগে তলব করা হয়েছিল।

মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের হাইকোর্ট বেঞ্চে হাজির হয়ে নিঃশর্ত ক্ষমা চান সরকার মো. কায়সার।

এর আগে একই বেঞ্চ গত ১৭ জুলাই তাকে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. আশরাফুল আলম নোবেল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি আটর্নি জেনারেল জাহিদ সরওয়ার কাজল।

শুনানি শেষে আশরাফুল আলম নোবেল সাংবাদিকদের বলেন, আমরা জানতাম রাবেয়া খাতুনের মামলায় আরেক আসামি জুলহাস মারা গেছেন। আদালত এ বিষয়টি সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তার কাছে জানতে চেয়েছিলেন জুলহাস জীবিত না মৃত। পুলিশের পক্ষ থেকে রিপোর্ট এসেছিল জুলহাস ১০ থেকে ১২ বছর আগেই ঢাকা থেকে চলে গেছে। পরবর্তীতে তার গ্রামের বাড়ি ভোলার ঠিকানায় আবারও তদন্ত করা হয় সেখানে তিনি আছেন কি না জানতে। ভোলার পুলিশ সুপারের রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই নামে সেখানে কারো অস্তিত্ব নেই।

তিনি বলেন, এ মামলার বিষয়ে আজকে আমি কিছু রিপোর্ট জমা দিয়েছি। যেখানে উল্লেখ আছে, জুলহাস ২০০৪ সালে খুন হয়। সেই মামলার এজাহার ও নথিপত্র আদালতে জমা দিয়েছি। পুলিশের প্রতিবেদন ও আমার দেওয়া ডকুমেন্টের মধ্যে যেহেতু গরমিল আছে সেহেতু এ বিষয়ে পুলিশের কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে আদালত আদেশ দিয়েছেন।

এর আগে হাইকোর্ট বিভাগের নির্দেশনায় স্থগিত করার পরেও অশীতিপর রাবেয়া খাতুনের মামলার কার্যক্রম পরিচালানার বিষয়ে আইনজীবীর মাধ্যেমে দুঃখ প্রকাশ করে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি চেয়ে আবেদন করেন ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ও বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মো. আল মামুন

গত ৩০ এপ্রিল এক আদেশে হাইকোর্ট ১৮ বছর আগে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধারের ঘটনায় অশীতিপর রাবেয়া খাতুনের মামলার কার্যক্রম তিন মাসের জন্য স্থগিত করেন। মামলার নথি তলব করে বিচার বিলম্বের ব্যাখ্যা দুই সপ্তাহের মধ্যে জানতে চায় আদালত।

‘অশীতিপর রাবেয়া; আদালতের বারান্দায় আর কত ঘুরবেন তিনি’ শিরোনামে ২৫ এপ্রিল একটি দৈনিকে খবার প্রকাশ হয়। ওই প্রতিবেদনযুক্ত করে হাইকোর্টে আবেদন করেছিলেন আইনজীবী মো. আশরাফুল আলম।

পত্রিকার প্রতিবেদনে বলা হয়, অবৈধ অস্ত্র ও গুলি নিজ হেফাজতে রাখার অপরাধে তেজগাঁও থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুর রাজ্জাক বাদী হয়ে অশীতিপর রাবেয়া খাতুনসহ তিনজনের বিরুদ্ধে মামলাটি দায়ের করেছিলেন ২০০২ সালের ২ জুন।

মামলা নম্বর ১৯৩৮/০২। এরপর তিনি গ্রেফতার হন, ছয় মাস কারাগারে থেকে জামিনও পান। পরে তাকেসহ দুই আসামি জুলহাস ও মাসুদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে ২০০৩ সালের ২৪ মার্চ শুরু হয় মামলার বিচার।

অশীতিপর রাবেয়া টপ নিউজ ভোলার পুলিশ সুপার


বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর