সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ কমিটির ১১১ সুপারিশ
২২ আগস্ট ২০১৯ ১৪:৪১
ঢাকা: অদক্ষ চালক, ত্রুটিপূর্ন যানবাহন, চালকের অসতর্কতা, দায়িত্ব পালনে সংশ্লিষ্টদের অনীহায় সড়ক দুঘর্টনার জন্য দায়ী। একই সঙ্গে সড়ক নিমার্ণে প্রকৌশলগত ত্রুটি ও পথচারীদের অসচেতনাকেও দায়ী করা হয়েছে। সড়ক-মহাসড়কে দুর্ঘটনা ও বিশৃঙ্খলার কারণ খুঁজতে গিয়ে এমন তথ্য পেয়েছে । সমস্যা সমাধানে ১ শ ১১টি সুপারিশও চুড়ান্ত করেছে সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ কমিটি।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) সচিবালয়ে পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের হাতে ওই প্রতিবেদন তুলে দেন কমিটির প্রধান সাবেক নৌ পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান।
আরও পড়ুন: সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ১১১ সুপারিশের খসড়া
বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে সড়কমন্ত্রী বলেন, দুর্ঘটনার কারণ উদঘাটনের পাশপাশি সমস্যা সমাধানে বাস্তবায়নযোগ্য ১ শ ১১টি সুপারিশ করেছে কাউন্সিল। এর মধ্যে আশুকরণীয় ৫০টি, স্বল্পমেয়াদী ৩২ টি এবং দীর্ঘ মেয়াদী ২৯ টি সুপারিশ রয়েছে। এরমধ্যে দ্রুততম সময়েসড়ক নিরাপত্তা বিষয়ক সচেতনতা ও শিক্ষা, প্রচার-প্রচারণা, মহাসড়কে প্রকৌশলগত ত্রুটি সমাধান, গতিরোধক, বাস স্টপেজ, বাস-বে, ডিভাইডার, লেন, লেভেল ক্রসিং, মহাসড়কের সঙ্গে গ্রামীন রাস্তার সংযোগ, ফিটনেসবিহীন গাড়ি চলাচল বন্ধ করা।
বৈঠক শেষে সড়ক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রতিবেদন গ্রহন করা হলো মাত্র। এই প্রতিবেদন যাচাই বাছাই করা হবে। আগামী ৫ সেপ্টেম্বর ফের বৈঠকে বসার পর এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সড়ক পরিবহন মন্ত্রণালয় চায়-একটি টাস্কফোর্স গঠন করে, ওই টাস্কফোর্সের মাধ্যমে সড়কে শৃঙ্খলা ও দুর্ঘটনা রোধে ওইসব সুপারিশ বাস্তবায়ন করতে।
ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, এতোদিন নানা উদ্যোগ নেওয়া হলেও বাস্তবায়নের সুফল পাওয়া যায়নি। এবার অধিক গুরুত্ব দিয়ে তা কঠোরভাবে বাস্তবায়ন করা হবে।
এসময় সড়ক পরিবহন আইনের প্রয়োগ সংক্রান্ত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আইনটি বাস্তবায়নে চ্যালেঞ্জ থাকবে এবং তা মোকাবেলা করেই এগিয়ে যেতে হবে। মালিক চালকরা আইন সংশোধনের যে দাবি তুলেছে সে প্রসঙ্গে বলেন, স্বরাষ্ট্র ও আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলে আইন ঠিক রেখে কিভাবে সমন্বয় করা যায় সে বিষয়ে চিন্তা করা হবে। তবে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরানোর পাশাপাশি দুর্ঘটনা কমিয়ে চলাচলে মানুষকে নিরাপত্তা ও স্বস্তি দিতে সরকার এ বিষয়ে শক্ত অবস্থান নেবে বলে উল্লেখ করেন ওবায়দুল কাদের।