বাংলাদেশের সহযোগিতায় সন্তুষ্ট মিয়ানমারের তদন্ত কমিশন
২৩ আগস্ট ২০১৯ ১৮:৩৭
ঢাকা: বাংলাদেশের সহযোগিতায় সন্তুষ্ট রাখাইন অঞ্চলে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর অত্যাচার-নির্যাতনের জন্য মিয়ানমার সরকারের গঠন করা স্বাধীন তদন্ত কমিশন ‘দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্ট কমিশন অব ইনকোয়ারি (আইসিওই)’। আইসিওই কার্যালয় থেকে গত ২২ আগস্ট এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানানো হয়। আইসিওই’র অগ্রবর্তী একটি দল ঢাকা ও কক্সবাজারে চারদিনের সফর শেষে ২০ আগস্ট নেপিডো ফিরে গেছে।
আইসিওই’র বিবৃতিতে বলা হয়েছে, জাপানের সাবেক রাষ্ট্রদূত কেনজো অসিমা এবং অধ্যাপক ড. অং তুন থেটের নেতৃত্বে মিয়ানমার সরকারের গঠন করা স্বাধীন তদন্ত কমিশনের একটি অগ্রবর্তী দল গত ১৭ থেকে ২০ আগস্ট বাংলাদেশের ঢাকা এবং কক্সবাজার সফর করেন। অগ্রবর্তী এই দলের সফরের মূল উদ্দেশ্য ছিল- রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে সরেজমিন অভিজ্ঞতা অর্জন, তদন্ত কমিশনের মাঠ পর্যায়ে কাজ করার প্রস্তুতি নেওয়া, তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি সংগ্রহ এবং কক্সবাজারের শিবিরগুলোতে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের সাক্ষাৎকার গ্রহণ।
ঢাকাতে আইসিওই’র অগ্রবর্তী দলটি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। তারা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পূর্ব এশিয়া, রোহিঙ্গা ও জাতিসংঘ বিভাগের সংশ্লিষ্ট মহাপরিচালদের সঙ্গেও বৈঠক করেন। এ ছাড়া দলটি ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিবদের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন।
বার্তায় বলা হয়, বাংলাদেশ সরকারের একাধিক প্রতিনিধির সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে মিয়ানমারের স্বাধীন তদন্ত কমিশনের দলটি তাদের কাজের পরিধি ও ধরন সম্পর্কে সকলকে বিস্তারিত জানান। এই দলটি একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিংস মিশন হিসেবে কাজ করছে জানিয়ে সরকারের কাছে প্রয়োজনীয় অনুমতি এবং সহযোগিতা চাওয়া হলে বাংলাদেশ সকল সহযোগিতা করতে সম্মত হয়।
এছাড়া কক্সবাজারে তদন্ত কমিশনের দলটি শরণার্থী, ত্রাণ এবং পুনর্বাসন কমিশনার, জেলার অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (পর্যটন এবং নিরাপত্তা) এবং পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করেন। পাশাপাশি কক্সবাজারে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা, ইউনিসেফ এবং আইওএম (আর্ন্তজাতিক অভিবাসন সংস্থা)-এর প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, স্বাধীন তদন্ত দলটি একদিন কক্সবাজারের বালুখালি, জামতলি এবং কুতুপালং রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করেন। মাঠ পর্যায়ে কাজ করে দলটি প্রকৃত পরিস্থিতি সম্পর্কে অভিজ্ঞতা নেয় এবং রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ে প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করে। এই সময়ে মিয়ানমারের স্বাধীন তদন্ত কমিশন বাংলাদেশ সরকারের কাছ থেকে পূর্ণ সহযোগিতা পেয়েছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা ইস্যুতে মিয়ানমারের ইনকোয়ারি কমিশনকে সহায়তা করবে সরকার