দিলদারের বিরুদ্ধে পুত্রবধূর নারাজি বিষয়ে শুনানি ১ সেপ্টেম্বর
২৫ আগস্ট ২০১৯ ১৮:৫৪
ঢাকা: আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ সেলিমের বিরুদ্ধে গর্ভপাত ঘটানোর চেষ্টাসহ মারধরের অভিযোগে তার ছেলে সাফাত আহমেদের স্ত্রী ফারিয়া মাহবুব পিয়াসার দাখিল করা নারাজি শুনানির জন্য আগামী ১ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছেন আদালত।
রোববার (২৫ আগস্ট) শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম মো. তোফাজ্জল হোসেন এ আদেশ দেন।
এর আগে, গত ১৭ জুলাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক মো. মজিবুর রহমান। বাদির অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে প্রতিবেদন দেয় পুলিশ। সেই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধেই পিয়াসা নারাজি আবেদন দাখিল করেছিলেন।
মামলার বাদী ফারিয়া মাহাবুব পিয়াসার আইনজীবী মোহাম্মদ উল্লাহ দাখিলকৃত প্রতিবেদনের উপর নারাজি পিটিশন দাখিল করেন। এরপর বিচারক বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পরবর্তী শুনানির জন্য নতুন করে এ তারিখ ধার্য করেন।
চলতি বছরের ১৭ জুলাই মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পরিদর্শক মো. মজিবুর রহমান। দিলদার আহমেদ সেলিম এবং আপন রিয়েল এস্টেটের পরামর্শক ও তত্ত্বাবধায়ক মো. মোখলেসুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি বলে তিনি প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন।
গত ১১ মার্চ দিলদার আহমেদের ছেলে ও বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের মামলার প্রধান আসামি সাফাত আহমেদের স্ত্রী ফারিয়া মাহাবুব পিয়াসা আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। এতে দিলদারের সঙ্গে আপন রিয়েল এস্টেটের পরামশর্ক ও তত্ত্বাবধায়ক মো. মোখলেসুর রহমানকেও আসামি করা হয়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, মামলার বাদীর সঙ্গে সাফাতের ২০১৫ সালে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে শ্বশুর বাড়িতেই থাকেন তিনি। সেখানে শ্বশুর দিলদার আহমেদ তার ওপর নির্যাতন করে আসছেন। স্বামীর অনেক অনৈতিক কাজে পিয়াসা বাধা দিলেও শ্বশুর উল্টো সাফাতকে উৎসাহিত ও সহযোগিতা করতেন। অন্তঃসত্ত্বা পিয়াসা গত ৫ মার্চ রাত ৮টার দিকে ওষুধ ও স্বামীর প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনার জন্য কাছাকাছি মার্কেটে যান। বাসায় ফেরার পর দিলদার আহমেদ ও মোখলেছুর রহমান তার মাথায় পিস্তল ঠেকান, চর-থাপ্পড় মারেন ও গর্ভপাত করানোর উদ্দেশে তলপেটে লাথি মরার চেষ্টা করেন এবং স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা রেখে এক কাপড়ে বাসা থেকে বের করে দেন।