Friday 11 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

‘ঘুমের ওষুধ মেশানো ডাব খাইয়ে মোবাইল ফোন-টাকা হাতিয়ে নিত ওরা’


২৭ আগস্ট ২০১৯ ১৮:৫৩
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রাম নগরী থেকে গ্রেফতার অজ্ঞানপার্টির চার সদস্য ডাব বিক্রি করতো। ডাবের পানিতে তারা ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে লোকজনকে খাওয়াতো। অতিমাত্রায় ঘুমের ওষুধের প্রভাবে কেউ অচেতন হয়ে পড়লে টাকা-মোবাইল হাতিয়ে নেওয়া ছিল তাদের মূল পেশা— জানিয়েছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি-দক্ষিণ) শাহ মো. আব্দুর রউফ সারাবাংলাকে এই তথ্য জানিয়েছেন। এর আগে সোমবার রাতে শাহ আমানত সেতুর গোলচত্বরে অভিযান চালিয়ে চারজনকে আটক করা হয়। অভিযানে বাকলিয়া ও কোতোয়ালী থানা পুলিশ যৌথভাবে অংশ নেয়।

গ্রেফতার চারজন হলেন— শহিদুল ইসলাম (৩০), মো. বাবুল (৩৬), রতন মিয়া (৫৫) এবং মো. হারুন (৩১)।

বিজ্ঞাপন

বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ নেজাম উদ্দিন সারাবাংলাকে জানান, সোমবার (২৬ আগস্ট) সকালে শাহ আমানত সেতুর সামনে গোলচত্বরে ফল বিক্রেতা আমির হোসেন ও জসিম উদ্দিন একজন ভাসমান ডাব বিক্রেতার কাছ থেকে দু’টি ডাব কেনেন। ডাবের পানি পান করার কয়েক মিনিট পর আমির হোসেন জ্ঞান হারিয়ে ফুটপাতে লুটিয়ে পড়েন। এ সময় তাকে ঘিরে লোকজন জড়ো হয়ে যায়।

জসিম তাকে দ্রুত চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। জ্ঞান ফেরার পর আমির হোসেন দেখেন, তার পকেটে থাকা ২ হাজার ২৫০ টাকা নেই। এই ঘটনায় তার শ্যালক পাইকারি ফল বিক্রেতা মামুনুর রশিদ বাদী হয়ে বাকলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, বলেন নেজাম উদ্দিন।

কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহসীন সারাবাংলাকে জানান, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মেহেদী হাসান রকি গত ২৪ আগস্ট রাত সাড়ে ৮টার দিকে নিউ মার্কেট মোড় থেকে একটি ডাব কেনেন। রকি বাসে ছিলেন, জানালা দিয়ে ডাব কেনেন। ডাবের পানি খেয়ে তিনি বাসেই অজ্ঞান হয়ে পড়েন। বাসটি রাতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকে পৌঁছার পরে তার জ্ঞান ফেরে। রকি দেখেন, তার সঙ্গে থাকা একটি মোবাইল ফোন ও ১৭০০ টাকা এবং ৪টি শার্ট-প্যান্ট নেই।

শাহ মো. আব্দুর রউফ সারাবাংলাকে জানান, দু’টি ঘটনা জানার পরে উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) এস এম মেহেদী হাসানের নির্দেশে দুই থানার টিম যৌথভাবে অভিযানে নামে। শাহ আমানত সেতুর গোলচত্বর থেকে চারজনকে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে ঘুমের ওষুধসহ অজ্ঞান করার উপকরণ জব্দ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে আমির হোসেন ও মেহেদী হাসান রকির মালামাল ও নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।

কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সারাবাংলাকে বলেন, ‘এই চক্রের চারজন বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড, মার্কেট এবং জনবহুল এলাকায় লোকজনকে টার্গেট করতো। একজন হাতে করে ডাব বিক্রি করতো, পাশেই ক্রেতা সেজে আরেকজন ডাব খেত, যেন অন্যদের সন্দেহ না হয়। বাকি দু’জনের দায়িত্ব থাকতো, টার্গেট করা ব্যক্তি অজ্ঞান হয়ে পড়লে সুযোগ বুঝে টাকা-মোবাইল হাতিয়ে নেওয়া।’

অজ্ঞানপার্টি

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর