ডেঙ্গু এখন নিয়ন্ত্রণে এটা মনে করার সুযোগ নেই: ওবায়দুল কাদের
২৮ আগস্ট ২০১৯ ১৭:৪৪
ঢাকা: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ডেঙ্গু এখনো নিয়ন্ত্রণে এটা মনে করার কোনো সুযোগ নেই। বছরব্যাপী ডেঙ্গুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। এ সময় তিনি চলতি বছরের মার্চ মাসে গুরুতর অসুস্থ হওয়ার পর বিএসএমএমইউ হাসপাতালের চিকিৎসার স্মৃতিচারণ করেন এবং হাসপাতালে যথাযথ, উন্নত, আন্তরিক ও দরদি মনের চিকিৎসাসেবা পাওয়ায় হাসপাতালের সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
বুধবার (২৮ আগস্ট) দুপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ)১৫ আগস্টে শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে এসে গেছে এটা ভাবার কোনো সুযোগ নেই। মৌসুমী ব্যবস্থা দিয়ে ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। এর বিরুদ্ধে নিতে হবে বছরব্যাপী ব্যবস্থা। ডেঙ্গু একটি লড়াই যেখানে সবচাইতে বড় ওষুধ হচ্ছে জনসচেতনতা।’
জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনিদের বিদেশে যাওয়ার সুযোগ করে দিয়েছেন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘পঁচাত্তরে ইয়ার লতিফ ছিল, মীরজাফর আলী খান ছিল, সেনাপতি রায় দুর্লভ ছিল। পলাশীর ষড়যন্ত্রের পুনরাবৃত্তি ঘটেছিল পঁচাত্তরে। তারা মনে করেছিল এই মুজিবকে বাংলাদেশ ভুলে যাবে। সেই খুনিদের তারা নিরাপদে বিদেশে যাওয়ার সুযোগ করে দিল, কে? তিনি সেনাপতি রায় দুর্লভ, সেনাপতি ইয়ার লতিফের প্রেতাত্মা সেনাপতি জিয়াউর রহমান।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলার মাটি ভিজে আছে বঙ্গবন্ধুর রক্তে। বন্দুকঘেরা পরিবেশে টুঙ্গিপাড়া গ্রামে তার জানাজা পড়তে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। ইতিহাসের মহানায়ক, ৫৭০ সাবান জুটেছিল তার দাফনে। মাটিচাপা দিয়েছিল তারা।’
রাজনীতিতে ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নেওয়া ছাড়া বিএনপির আর কোনো পথ খোলা নাই মন্তব্য করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আগস্ট মাস আসলেই বিএনপি দিশেহারা হয়ে যায়। তবে তারা যতই দায় এড়ানোর চেষ্টা করুক না কেন-জনতার আদালতে প্রমাণ হয়ে গেছে ১৫ ও ২১ আগস্টের হোতা বিএনপি।’
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বিএনপি রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিদেশি কিছু এনজিওর সঙ্গে ষড়যন্ত্র করেছে। এটিকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে বাংলাদেশকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করছে।’ রাজনীতিতে ষড়যন্ত্রের পথ বেছে নেওয়া ছাড়া বিএনপির আর কোনো পথ খোলা নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল হান্নান।
সভায় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিপ) সভাপতি অধ্যাপক ডা. এম ইকবাল আর্সলান, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ডা. মো. ইহতেশামুল হক চৌধুরী, স্বাচিপের মহাসচিব অধ্যাপক ডা. এম এ আজিজ।
সভায় আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মো. শহীদুল্লাহ সিকদার, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. সাহানা আখতার রহমান, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মুহাম্মদ রফিকুল আলম, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আতিকুর রহমান।