খালেদার কারাদণ্ড, আওয়ামী লীগের আনন্দ মিছিল
৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ১৪:৪৯
স্টাফ করেসপন্ডেন্ট
ঢাকা: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এই রায়ের পরে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের আনন্দ উল্লাস করতে দেখা যায়।
বৃহস্পতিবার বেলা দুইটা ১০ মিনিটে এজলাসে আসেন বিচারক। এর পরপরই ৬৩২ পৃষ্ঠার রায় পড়া শুরু করেন। এ সময় রায়ের উল্লেখযোগ্য অংশ পড়ে শোনান আদালত।
রায় ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন জায়গায় অপেক্ষারত থাকা আওয়ামীলীগ কর্মীরা আনন্দ উল্লাস শুরু করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি থেকে বের হয় আনন্দ মিছিল। ধানমণ্ডি আওয়ামীলীগের কর্মীরা রাজনৈতিক কার্যালয়ের সামনে মিষ্টি বিতরণ করে। অন্য সব এলাকায়ও তাদের উল্লাস করতে দেখা যায়।
মৌলভীবাজার জেলা আওয়ামী লীগও রায় প্রকাশের পরে আনন্দ মিছিল করে।
বৃহম্পতিবার বিকেলে মিছিলটি চৌমোহনা চত্বর থেকে বের হয়ে হামিদিয়া পয়েন্টে গিয়ে শেষ হয়। রায় ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক আনন্দ মিছিল বের করেছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
মিছিলে যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশগ্রহন করেন।
২০০৮ সালের ৩রা জুলাই সেনা-সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে আসামি করে অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা করা হয়।
তাদের বিরুদ্ধে এতিমদের সহায়তা করার উদ্দেশ্যে একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে।
খালেদা জিয়া ছাড়া অন্য আসামিদের ১০ বছরের কারাদণ্ড এবং প্রত্যেককে দুই কোটি টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
এই রায় ঘোষণার পরে, দেশের বিভিন্ন অংশ থেকে সহিংসতার খবর পাওয়া যাচ্ছে। খালেদা জিয়ার গাড়িবহর আদালত যাওয়ার পথেই সারাবাংলা.নেটের সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার হাবিবুর রহমানের মোটর সাইকেল আগুন লাগিয়ে দেয় অজ্ঞাতনামা দুর্বৃত্তরা। সিলেটের কোর্টবাড়িতে একুশে টেলিভিশনের ক্যামেরা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় হামলা-ভাঙচুর চালানো হচ্ছে।
সহিংসতা ঠেকাতে শহরজুড়ে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, ‘জনগণের নিরাপত্তা ও জান-মাল রক্ষার্থে পুলিশ প্রস্তুত রয়েছে। রায় ঘিরে পুরো নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হয়েছে। কোনো উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার কারণ নেই।’
‘কেউ বিশৃঙ্খলার চেষ্টা করলে যা করণীয় পুলিশ তাই করবে’ বলেন ডিএমপি কমিশনার।
সারাবাংলা/এমএ