মেঘনাঘাটে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে রিলায়েন্সের সঙ্গে চুক্তি সই
১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৮:১৮
ঢাকা: নারায়ণগঞ্জের মেঘনাঘাটে ৭১৮ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে ভারতীয় কোম্পানি রিলায়েন্সের সঙ্গে চুক্তি করেছে সরকার। চুক্তি অনুযায়ী তিন বছরের মধ্যে বিদ্যুৎকেন্দ্রের নির্মাণকাজ শেষ করতে হবে।
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে বিদ্যুৎ ভবনে এ চুক্তি সই হয়। চুক্তি সই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন- প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত রিভা গাঙ্গুলি দাস, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের এসডিজিবিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ, বিদ্যুৎ বিভাগের জ্যেষ্ঠ সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, সচিব আবু হেনা রহমাতুল মুনিম, রিলায়েন্স গ্রুপের হেড অব বিজনেস সমীর কুমার গুপ্ত, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান খালেদ মাহমুদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, ‘সব কমপ্লেক্স প্রকল্পে সময় একটু বেশি লেগে থাকে। সেটা সবদেশের ক্ষেত্রেই। এখানেও একটু বেশি সময় লেগেছে। সরকার কেন বড় প্রকল্প হাতে নেয় না? এ নিয়ে এক সময় খুব সমালোচনা হতো। তখন আমরা স্বল্প ও মধ্য মেয়াদী প্রকল্পগুলো হাতে নিতাম। এখন দীর্ঘ মেয়াদী প্রকল্প হাতে নেওয়া হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ছিল, মানুষের কাছে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেওয়া। এজন্য প্রথমে স্বল্প মেয়াদী কিছু প্রকল্প নিয়ে বাংলার মানুষের কাছে বিদ্যুৎ পৌঁছে দিয়েছি। এখন সময় এসেছে দীর্ঘ মেয়াদী কয়লা ও গ্যাসভিত্তিক প্রকল্প হাতে নেওয়া। সুতরাং আমাদের বিস্তৃতি বাড়ছে। এজন্য আপনাদের সমর্থন (মিডিয়ার) প্রয়োজন। আমাদের ভাল কাজগুলো প্রচার করতে হবে। তবেই জাতি হিসেবে আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়বে।’
এ সময় রিভা গাঙ্গুলি দাস বলেন, ‘বাংলাদেশ-ভারতের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। রামপাল মৈত্রী থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট একটি সফলতার প্রতীক। আমি মনে করি, নতুন বিদ্যুৎকেন্দ্রও আরেকটি সফলতার প্রতীক হবে। এই চুক্তি বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে আরও সুসম্পর্ক গড়ে তুলবে। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে এটি আরও বড় ভূমিকা রাখবে। রিলায়েন্স ভারতের সুনামধন্য একটি প্রতিষ্ঠান। তাদের দেখে অন্যরাও বাংলাদেশে কাজ করতে আগ্রহী হবে। এছাড়া ভারতের বিভিন্ন প্রাইভেট কোম্পানি বাংলাদেশে কাজ করছে।
চুক্তিতে বলা হয়েছে, তিন বছরের মধ্যে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণকাজ শেষ হবে। উৎপাদিত প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম পড়বে ৫ দশমিক ৮৫ টাকা (ইউএস ডলার ৮০ টাকা হিসেবে)।