নিজের শ্রমিক কিন্তু নিজেরই: রুবানা হক
১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২১:১৫
ঢাকা: শ্রমিকদের নৈতিক অধিকারের বিষয়ে কারখানা মালিক ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সর্তক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক।
তিনি বলেন, ‘নিজের কারখানার শ্রমিক কিন্তু নিজেরই। তাদের ব্যাপারে যত্নশীল হতে হবে। সবচেয়ে দুষ্ট যে ওয়ার্কার, সোজাভাবে কথা বললে সেও কিন্তু শান্ত হয়ে যায়। কাজের ক্ষেত্রে শ্রমিকের শারীরিক অবস্থা ও তার পরিবারের খোঁজ-খবরও রাখা উচিত।’
রোববার (১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘আপলিফটিং দ্য কমপিটেটিভনেস অব বাংলাদেশ থ্রু ইথিক্যাল লেবার প্র্যাকটিসেস ইন সাপ্লাই চেইন’ শীর্ষক দিনব্যাপী কর্মশালার সমাপনী বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা আইওএম ও ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম বাংলাদেশ (আইবিএফবি) যৌথভাবে এই কর্মশালার আয়োজন করে।
‘দালালদের আইনি কাঠামোতে আনার প্রক্রিয়া চলছে’
রুবানা হক বলেন, পোশাক খাতে ৪০ লাখ মানুষ কাজ করে। এখানে ৪ হাজারটা জিনিস ভুল হতে পারে। এর মধ্যে করি নাই, করতে পারব না, এটা বলতে চাই না। কিন্তু দেখতে হবে সে ভুলগুলো শোধরাতে কাজ করা হচ্ছে কি না। আমরা বলতে চাই না যে এ খাতে কোনো ভুল নেই। একটি পরিবারেরও তো মাঝে মাঝে সমস্যা হয়। কিন্তু সেটা সবাই মিলে সমাধান করে। আমাদের ভুল শোধরাতে সাহায্য করতে হবে। আমরা আমাদের শ্রমিকদের জন্য সেরাটা করতে চাই। এজন্য সব পক্ষের মধ্যে সমন্বয় প্রয়োজন।
তিনি বলেন, যার যার কোম্পানিতে সবাই যেন একটু সচেতন হই। কোনো উচ্চ পর্যায়ের আইন ভঙ্গের ঘটনা যেন না ঘটে। শ্রমিকরা একটু হট্টগোল করবে, এমন ভাবলে চলবে না। তাদের হট্টগোলের প্রকৃত কারণ জানতে হবে। তিনি আরও বলেন, সব শ্রমিকের কাছে আমার নম্বর আছে। তারা কিন্তু অকারণে আমাকে ফোন করে না। খুব দরকার পরলেই তারা কল দেয়। কাজের জায়গায় শ্রমিকদের অনৈতিকভাবে চাপ দেওয়া যাবে না।
‘এসএফ ডেনিম’ গার্মেন্টসের ৭০০ শ্রমিক চাকরিচ্যুত
বিজিএমইএ সভাপতি আরও বলেন, শ্রম বিষয়টি খুবই সংবেদনশীল। আমাদের এই বিষয়টি তাই খুব গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া উচিত। পোশাক খাতে কিছু সমস্যা আছে। তবে পরিমাণ ও গুণ বিচারে এটা খুবই সামান্য। তবে এ ক্ষেত্রের উন্নয়নে অনেক কিছু করার আছে। এজন্য আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। হতে হবে কৌশলী। আমরা আমাদের শ্রমিকদের জন্য সেরাটা করতে চাই। এজন্য সব পক্ষের মধ্যে সমন্বয় প্রয়োজন।
কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইওএম’র মানব উন্নয়ন বিভাগের প্রধান মেরিনা ম্যাংকে, আইবিএফবি’র সভাপতি হুমায়ূন রশিদ। এতে আরও বক্তব্য রাখেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের শ্রম উইংয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মোহাম্মদ রেজাউল হক, আইওএম’র সিনিয়র শ্রম অভিবাসন বিশেষজ্ঞ লারা হোয়াইট, বিজিএমইএ’র পরিচালক আসিফ ইব্রাহিম, চামড়াজাত পণ্য প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারকদের সংগঠন এলএফএমইএবি’র নির্বাহী পরিচালক কাজী রওশন আরা, আইবিএফবি’র ভাইস প্রেসিডেন্ট এম এস সিদ্দিকী, এমফরির বাংলাদেশ প্রতিনিধি সাইফুল মিল্লাতসহ অন্যরা।