জাপানি নাগরিক হত্যা মামলায় ৪ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ
১ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২০:২৯
ঢাকা: উত্তরায় জাপানি নাগরিক হিরোই মিয়াতা হত্যা মামলায় চার জনের সাক্ষ্য নিয়েছেন আদালত। রোববার (১ সেপ্টেম্বর) ঢাকার চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মাকছুদা পারভীন সাক্ষীদের সাক্ষ্য নেন। তাদের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করেন।
সাক্ষ্য দিতে আসা সাক্ষীরা হলেন— উত্তরা সিটি হোমস আবাসিক হোটেলের পরিচালক শাহদাত ফিরোজ শিকদার, সিকিউরিটি গার্ড মো. বোরহান, মো. আব্দুল খালেক ও মো. শাহজাহান। এ নিয়ে মামলাটিতে সাত জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।
অভিযুক্ত আসামিরা হলেন— এইচ এম জাকির হোসেন পাটোয়ারী ওরফে রতন, মারুফুল ইসলাম, রাশিদুল ইসলাম বাপ্পি, ফখরুল ইসলাম, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন পাটোয়ারী ও ডা. বিমল চন্দ্র শীল। আসামিদের সবাই জামিনে আছেন।
আরও পড়ুন- পাঁচশ টাকা ফি দিয়ে দাফন করা হয় জাপানি নাগরিককে
২০১৫ সালের ২৬ অক্টোবর আসামিরা হিরোই মিয়াতাকে কৌশলে অপহরণ করে আটকে রাখে। এরপর ২৯ অক্টোবর তাকে হত্যা করে গোপনে উত্তরার একটি কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করে।
জানা যায়, ২০০৬ সালের দিক থেকে জাপানি ওই নারী বাংলাদেশে বাস করছিলেন। ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরও তিনি বাংলাদেশে ছিলেন। উত্তরার ৬ নম্বর সেক্টরের ১৩/বি নম্বর সড়কের আট নম্বর হোল্ডিংয়ের সিটি হোমসে থাকতেন। এরপর ওই বছরের আগস্টে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসায় যান তিনি। গত ২৬ অক্টোবর থেকে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পায় তার পরিবার। এরপর তার মা ঢাকার জাপানি দূতাবাসকে জানান।
নিখোঁজের ঘটনার পরে ওই বছরের ১৯ নভেম্বর জাপানের এক কর্মকর্তা উত্তরা পূর্ব থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
আসামিরা নাটক সাজিয়ে ১২ নম্বর সেক্টরের খালেরপাড় কবরস্থানে ভিকটিমের দাফনের কাজ শেষ করেন। ওই ঘটনায় উত্তরা (পূর্ব) থানার পুলিশ পরিদর্শক মিজানুর রহমান হাওলাদার বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেন।
২০১৬ সালের ৩০ জুন মামলাটি তদন্ত করে সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর মিয়া ছয় জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন। ওই বছরের ৩ নভেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জগঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।