গণধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় এমরানকে
৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৭:৩৮
নোয়াখালী: ‘গণধর্ষণের পরে এমরান হোসেনকে (৮) শ্বাসরোধে হত্যা করে চারজন। এরপর মরদেহ মাছের ঝুড়িতে লুকিয়ে রাখে তারা।’
এমরান হত্যা মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পরে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ওয়াসিম আকরাম এসব কথা জানিয়েছেন— বলেন নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) আলমগীর হোসেন।
ওয়াসিমের বরাত দিয়ে আলমগীর হোসেন জানান, গত ২২ আগস্ট রাত ৮টার দিকে চারজন এমরানকে শহীদের টিনের ঘরে নিয়ে ধর্ষণ করে। শিশুটির মুখ দিয়ে ফেনা বের হলে তারা শ্বাসরোধে হত্যা করে মরদেহ প্লাস্টিকের মাছের ঝুড়িতে রেখে চলে আসে।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) তার কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দিপক জ্যোতি খিসা, বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হারুন অর রশীদ এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওসি (তদন্ত) নূরে আলম।
এর আগে গত ২৫ আগস্ট রাতে বেগমগঞ্জ উপজেলার ছয়ানী বাজারে পরিত্যক্ত একটি দোকান ঘরে মাছের ঝুড়ির ভেতর থেকে এমরানের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
ছয়ানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণির ছাত্র এমরানের বাবার নাম সামছুল হক। তার বাড়ি শরীফপুর গ্রামে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ২২ আগস্ট দুপুরে নিখোঁজ হয় এমরান। পরদিন ২৩ আগস্ট সামছুল হক বেগমগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন। ২৫ আগস্ট রাতে ছয়ানী বাজারের একটি টিনের দোকান ঘরে প্লাস্টিকের মাছের ঝুড়ির মধ্য থেকে পুলিশ এমরানের মরদেহ উদ্ধার করে। তার গলায় তখনো দড়ি প্যাঁচানো ছিল।
আলমগীর হোসেন বলেন, ১ সেপ্টেম্বর ছয়ানী বাজার থেকে ওয়াসিমকে গ্রেফতার করা হয়। তার বাড়ি ছয়ানীর বড় মেহেদীপুরে। ওয়াসিমকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে সে এমরান হত্যায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে। এমরান হত্যায় জড়িত স্বীকার করে ওয়াসিম জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শোয়েব উদ্দিন খানের আদালতে বয়ান দিয়েছেন।
এই মামলার বাকি তিনজনকে গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান আলমগীর হোসেন।