চন্দ্রপৃষ্ঠ ছোঁয়ার সৌভাগ্য হলো না ভারতের
৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০৯:১৭
ঠিক যেটাকে বলে তীরে এসে তরী ডোবা। চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে মাত্র ২.১ কিলোমিটার দূরে থাকা অবস্থায় মহাকাশযান চন্দ্রায়ন-২ এর সঙ্গে সকল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরো। আর তাই প্রায় নিশ্চিতভাবেই বলা যাচ্ছে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে নামা প্রথম কোনো মহাকাশযানের বিরল সম্মান অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে চন্দ্রায়ন-২।
শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সংবাদমাধ্যম বিবিসির খবরে এতথ্য নিশ্চিত করা হয়।
শুক্রবার সারাদিন গোটা ভারত অধীর অপেক্ষায় ছিল সুসংবাদের। তবে বিজ্ঞানীরা জানতেন শেষ ১৫ মিনিট তাদের চূড়ান্ত পরীক্ষার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। রাত ২.২০ মিনিটে ইসরোর চেয়ারম্যান কে শিবন জানান চন্দ্রায়ন-২ এর সঙ্গে যোগাযোগ সম্ভব হচ্ছে না।
ভারতের চন্দ্রাভিযানে ব্যর্থতা ও টুইটার ঝড়
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের খবরে বলা হয়েছে, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে গতিবেগ কমানো সম্ভব হয়নি মহাকাশযানটির পক্ষে। তাই সফট ল্যান্ডিং করেনি চন্দ্রায়ন-২। ঘণ্টায় প্রায় ৬ হাজার কিলোমিটার গতিবেগে চাঁদের ভূপৃষ্ঠে আছড়ে পড়েছে চন্দ্রায়নের ল্যান্ডার। অথচ সফট ল্যান্ডিং এর জন্য গতিবেগ থাকার দরকার ছিল ঘণ্টায় ৭ কিলোমিটার। আর এই অবতরণ প্রক্রিয়া একেবারেই স্বয়ংক্রিয়, তাই কোনোরকম হস্তক্ষেপেরও সুযোগ ছিল না।
শিল্পীর কল্পনাচিত্র।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি মধ্যরাতে বেঙ্গালুরুতে ইসরোর কন্ট্রোলরুমে বসে অভিযান সরাসরি দেখছিলেন। প্রতিক্রিয়ায় মোদি বিজ্ঞানীদের বলেন, সাহসী হন। আমরা যা অর্জন করেছি তা ছোট কোনো বিষয় নয়। আমি আপনাদের সঙ্গে রয়েছি।
চাঁদে পৌঁছাতে আবারও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ মোদি
প্রসঙ্গত, এই অভিযান সফল হলে চতুর্থ দেশ হিসেবে চাঁদে অবতরণের গৌরব অর্জন করত ভারত। ইতোপূর্বে চন্দ্রপৃষ্ঠ ছোঁয়ার সৌভাগ্য হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়ন ও চীনের। ভারত তাদের এই চন্দ্রাভিযানে খরচ করছে প্রায় ১ হাজার কোটি ভারতীয় রুপি। গত ২২ জুলাই শ্রী হরিকোটা মহাকাশ স্টেশন থেকে ৬৪০ টন ওজনের চন্দ্রায়ন-২ যাত্রা শুরু করে।
এর আগে, ২০০৮ সালে দেশটি পাঠিয়েছিল চন্দ্রায়ন-১। তবে সেই অভিযানে মহাকাশযানটি শুধুমাত্র চাঁদের কক্ষপথে পরিভ্রমণ করে। চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণ করেনি।