৩০ হাজার তরুণকে প্রশিক্ষণ দেবে ‘হাইটেক পার্ক’
১২ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২০:৫৩
ঢাকা: দেশের ৩০ হাজার তরুণ-তরুণীকে আইটি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেবে বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ। জেলা পর্যায়ে আইটি বা হাই-টেক পার্ক স্থাপন প্রকল্পের আওতায় ২০০ জন শিক্ষার্থীকে প্রাথমিকভাবে বাছাই করা হয়। আর এই প্রকল্পের আওতায় জাপানে প্রশিক্ষণে যাচ্ছে ৫০ জনের একটি দল।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের কার্যালয়ে এ উপলক্ষে এক শুভেচ্ছা ও মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণার্থীদের বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, জাপানের ফুজিৎসু রিসার্চ ইন্সটিটিউটে ডাটা সায়েন্স, আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, মেশিন লার্নিং, ইন্টারনেট অব থিংস, রবোটিক্স, ব্লক চেইন এবং সাইবার সিকিউরিটি বিষয়ে ৩ মাসব্যাপী এই প্রশিক্ষণ কার্যক্রম চলবে।
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে দক্ষ মানবসম্পদ তৈরির কোনো বিকল্প নেই। বাংলাদেশকে একটি মেধানির্ভর অর্থনীতির দেশে পরিণত করতে আমরা ইতোমধ্যে বিভিন্ন উচ্চতর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করছি। নির্বাচনি ইশতেহারের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী বিভিন্ন প্রকল্প ও কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা দেশের তৃণমূল পর্যায়ে প্রশিক্ষণ কার্যক্রম ছড়িয়ে দিতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘জেলা পর্যায়ে আইটি বা হাই-টেক পার্ক স্থাপন (১২টি জেলায়) প্রকল্পের আওতায় ৩০ হাজার তরুণ-তরুণীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রথম পর্যায়ে আমরা বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) মাধ্যমে ৩ হাজার ৪১১ জন গ্রাজুয়েটের মধ্য থেকে ২০০ জনকে নির্বাচন করেছি। মেধাক্রম অনুসারে প্রথম ৫০ জন জাপান যাচ্ছে। আমি আশা করি এই প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আমরা দক্ষ আইটি কর্মী পাবো।’
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা বেগম বলেন, ‘আমরা এর আগে শুধু প্রশিক্ষণেরই ব্যবস্থা গ্রহণ করিনি, গুণগত প্রশিক্ষণ শেষে আমরা তাদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করেছি। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বিভিন্ন আইটি কোম্পানিতে প্রায় ৪ হাজার ৪৭৬ জনের কর্মসংস্থান হয়েছে।’
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন জেলা পর্যায়ে আইটি বা হাই-টেক পার্ক স্থাপন (১২ জেলায়) প্রকল্পের আওতায় ৩০ হাজার তরুণ-তরুণীকে আইটি প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। প্রকল্পের আওতায় নির্মিতব্য স্থাপনাসমূহের মধ্যে রয়েছে ১২টি জেলায় ৭ তলা মাল্টিটেনেন্ট ভবন নির্মাণ, ওই ১২ জেলায় ৩ তলা ক্যান্টিন ও এমপি থিয়েটর ভবন (স্টিল স্ট্রাকচার); ৮ জেলায় ৩ তলা (প্রতি তলা ৬ হাজার বর্গফুট) ডরমিটরি ভবন (আর সিসি স্ট্রাকচার) এবং ১২টি জেলায় ইলেকট্রো-মেকানিক্যাল কাজ। এছাড়া এই প্রকল্পের আওতায় বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে বিশেষায়িত ল্যাব স্থাপন করা হবে।