নিয়ন্ত্রণে ডেঙ্গু, কমেনি শঙ্কা
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৯:১৯
ঢাকা: রাজধানী ঢাকার হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তির সংখ্যা কমলেও, কমেনি আতঙ্ক। গত মাসে লাফিয়ে লাফিয়ে আক্রান্তের হার যেভাবে বেড়েছিল, চলতি মাসে সেই চিত্র অনেকটাই পাল্টে গেছে। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এতে এখনই নিশ্চিত হওয়ার সুযোগ নেই।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকার কয়েকটি হাসপাতাল ঘুরে এ তথ্য পাওয়া যায়। হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, রোগী ভর্তির সংখ্যা কমেছে। কিন্তু আতঙ্ক কাটেনি। প্রতিদিনই প্রচুর মানুষ আসছেন পরীক্ষা করাতে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানায়, শনিবার দুপুর পর্যন্ত একজন ডেঙ্গু রোগীও ভর্তি হতে আসেননি। অন্যদিকে হাসপাতালের বহির্বিভাগে পরীক্ষা করিয়েছেন নয়শোর বেশি মানুষ।
সেপ্টেম্বরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তির সংখ্যা কমতে শুরু করে। এর মধ্যে ৯ সেপ্টেম্বর তুলনামূলকভাবে রোগীর সংখ্যা বাড়লেও এরপর আবারও কমে আসে। সর্বশেষ ১৩ সেপ্টেম্বর মাত্র দু’জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়।
ডেঙ্গু প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া সারাবাংলাকে বলেন, ডেঙ্গুর বর্তমান পরিস্থিতিকে আমরা ‘নিয়ন্ত্রণে’ বলতে পারি। কিন্তু মাথায় রাখতে হবে সেপ্টেম্বর মাস এখনো শেষ হয়ে যায়নি। অন্যান্য বছর আমরা দেখেছি সেপ্টেম্বরে ডেঙ্গুর প্রকোপ সবচেয়ে বেশি ছিল।
তিনি বলেন, এবার জনগণের সচেতনতা, সরকারের পদক্ষেপ— সবকিছু মিলিয়ে সেপ্টেম্বরে রোগী ভর্তির সংখ্যা অনেক কমে এসেছে। ভবিষ্যতেও আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালের চেয়ারম্যান ডা. লেলিন চৌধুরী সারাবাংলাকে বলেন, নিয়ন্ত্রণে নয়, ডেঙ্গুর বর্তমান পরিস্থিতিকে আমরা বলতে পারি ‘নিয়ন্ত্রণের পথে’। পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে বলা যাবে না। কারণ ঢাকায় রোগী ভর্তির সংখ্যা কমে এলেও ঢাকার বাইরের চিত্র কিন্তু আলাদা। আক্রান্তের হার এবং রোগী ভর্তি সংখ্যা এখনো বেশি। সেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনাই এখন চ্যালেঞ্জ।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুমের সহকারী পরিচালক ডা. আয়শা আক্তার জানান, সারাদেশে এ পর্যন্ত ৮০ হাজার ৪০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হন। এর মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র নিয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৭৬ হাজার ৯৩৭ জন। অর্থাৎ শতকরা ৯৬ ভাগ রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন দুই হাজার ৯শ’ জন।