শ্রীলঙ্কায় নিহত শিশু যায়ানের নামে বনানীতে হচ্ছে খেলার মাঠ
১৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৮:২১
ঢাকা: শ্রীলঙ্কায় সন্ত্রাসী হামলায় নিহত আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপির নাতি শিশু যায়ানের নামে বনানীতে খেলার মাঠের ভিত্তি প্রস্থর স্থাপন করা হয়েছে।
শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বনানীর ১ নম্বর সড়কে ‘শহীদ যায়ান চৌধুরী খেলার মাঠ’-এর উন্নয়ন কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম এবং শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি।
এ সময় ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘বনানীর এ মাঠটি সম্প্রতি শ্রীলঙ্কায় সন্ত্রাসী হামলায় নিহত যায়ান চৌধুরীর নামে নামকরণ করা হয়েছে। যায়ান এলাকার অন্য শিশুদের সাথে এ মাঠে খেলতো। যায়ানের মর্মান্তিক মৃত্যুর পর এলাকাবাসীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ মাঠটি তার নামে রাখা হয়েছে। এ নামকরণ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এক ধরনের প্রতিবাদ।’
তিনি আরও বলেন, ‘যায়ান চৌধুরীর মতো আর কাউকে যেন প্রাণ দিতে না হয় এবং একটি সন্ত্রাসমুক্ত বাংলাদেশ যেন গড়তে পারি আমাদের সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। যে দেশ গড়ায় বঙ্গবন্ধু প্রাণ দিয়েছেন সে দেশে আমরা ময়লা-আবর্জনা ফেলতে পারি না। সুনাগরিক হিসাবে আমরা সকলে নিজ-নিজ দায়িত্ব পালন করলে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে পারব।’
ডিএনসিসির পাশাপাশি এলাকাবাসীর সহযোগিতা ও অংশগ্রহণে এ মাঠটি সংরক্ষণ ও পরিচালনা করা হবে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘নগরবাসীর খেলাধুলা, শরীরচর্চা এবং বিনোদনের জন্য ডিএনসিসির ২৬টি পার্ক ও খেলার মাঠের সংস্কার কাজ খুব দ্রুত সম্পন্ন হবে। এর মধ্যে ৪টি পার্কের সংস্কার কাজ প্রায় শেষের দিকে।’
এ সময় যায়ানের নানা শেখ ফজলুল করিম সেলিম বলেন, ‘সাম্প্রদায়িকতার বাড়াবড়ির কারণে যায়ানকে প্রাণ দিতে হয়েছে। ’তিনি শহীদ যায়ান চৌধুরীর আত্মার মাগফিরাত কামনার জন্য সকলের কাছে আহবান জানান।
অনুষ্ঠান শেষে শহীদ যায়ান চৌধুরীর জন্য দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর মফিজুর রহমান, প্রকল্প পরিচালক ড. তারিক বিন ইউসুফ ও স্থপতি ইকবাল হাবিব প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, শহীদ যায়ান চৌধুরী মাঠের উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন হলে এ এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশা ও বয়সের নারী-পুরুষ, প্রতিবন্ধী, শিশু সকলে খেলাধুলা, শরীর চর্চা ও বিনোদনের ব্যবস্থা হবে।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ‘মেসার্স এস এম কনস্ট্রাকশন’ উন্নয়ন কাজের দায়িত্ব পেয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী আগামী বছর ১ মার্চের মধ্যে ২.৪৮ একর আয়তনের এ মাঠটির উন্নয়ন কাজ শেষ করতে হবে। এতে ব্যয় হবে ৫ কোটি ১৯ লাখ ১৭ হাজার ১৭০ টাকা।
উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন হলে এতে আন্তর্জাতিক মানের উপকরণ ও প্রযুক্তি দ্বারা নির্মিত খেলার মাঠ ও ক্রিকেট পিচ, মনোরম ও আধুনিক উপকরণ দিয়ে নির্মিত ইন্টারনাল ও এক্সটারনাল ওয়াক-ওয়ে, এলাস্টোপেভ ওয়াক-ওয়ে, শিশুদের জন্য আলাদা প্লেইং জোন, পাবলিক টয়লেট, নারী ও পুরুষের জন্য আলাদা চেঞ্জিং রুম, বসার বেঞ্চ, ক্রিকেটের নেট প্র্যাকটিস ব্যবস্থা, মাঠের চারপাশে মনোরম ও সৌন্দর্যবর্ধক বাউন্ডারি ফেন্সিং ইত্যাদি থাকবে। এমনকি রাতেও যাতে মাঠটি ব্যবহার করা যায় সেজন্য আলোকিত করার ব্যবস্থা থাকবে।