ঢাকা: ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফওজিয়াকে নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা আবেদনের উপর শুনানি শেষ হয়েছে। এ বিষয়ে আদেশের জন্য আগামীকাল মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দিন ঠিক করে দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আবেদনের ওপর শুনানি শেষে এ দিন ঠিক করেন ।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টা পর্যন্ত যেনো যোগদান করতে না পারেন তা নিশ্চিত করতে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেলকে নির্দেশ দেন আদালত। আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাশগুপ্ত।
আদালতে আবেদনটি দায়ের করেন ভিকারুননিসার গভর্নিং বডির সাবেক সদস্য ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. ইউনুস আলী আকন্দ।
তিনি বলেন, ১৯৭৯ সালের রেজুলেশন ২(এ)(ই), ৩(১) (২) অনুযায়ী অধ্যক্ষ নিয়োগের ক্ষমতা গভর্নিং বডির এবং ২০০৯ সালের রেজুলেশন ৪১ (২)(খ)(৪) অনুযায়ী শিক্ষক-কর্মচারী নিয়োগের ক্ষমতা গভর্নিং বডির। কিন্তু সরকার অবৈধ ক্ষমতা ব্যবহার করে মাউশির একজন কর্মকর্তাকে অধ্যক্ষ নিয়োগ দেয়।
আবেদনে ফওজিয়াকে নিয়োগ দিয়ে জারি করা প্রজ্ঞাপন কেনো অবৈধ হবে না এ মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে। এ রুল বিবেচনাধীন থাকা অবস্থায় প্রজ্ঞাপন স্থগিত চাওয়া হয়েছে। এছাড়া তার কার্যক্রমের ওপরে স্থিতাবস্থা জারিরও আর্জি জানানো হয়েছে।
আবেদনে শিক্ষা সচিব, ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান, ভিকারুননিসার অধ্যক্ষ, অ্যাডহক কমিটির চেয়ারম্যান, ঢাকা জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট ১১ জনকে বিবাদী করা হয়েছে।
২০১৯ সালে করা এক রিট আবেদনের অংশ হিসেবে সম্পূরক আবেদন করা হয়।
১৫ সেপ্টেম্বর ফাওজিয়াকে অধ্যক্ষ হিসেবে নিয়োগ দিয়ে আদেশ জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগ।
বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের এই নিয়োগ আদেশে বলা হয়েছে, তিনি নিজ বেতনক্রম অনুযায়ী বেতন-ভাতা গ্রহণ করবেন এবং পদ সংশ্লিষ্ট ভাতা ও অন্যান্য সুবিধা পাবেন।