আকাশবীণা, হংসবলাকা, গাঙচিল… এবার রাজহংস

ঢাকা: বাংলাদেশ বিমানের ৪র্থ বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার ‘রাজহংস’ পাখা মেলবে আজ মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর)। গত শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টা ৫৫ মিনিটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছায় বিমানটি। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই বিমানের উদ্বোধন করবেন। এর মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে আকাশে পাখা মেলবে উড়োজাহাজটি।

প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের একটি সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বিকেল (মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর) ৪টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভিভিআইপি টারমাকে আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন সংগৃহীত জাতীয় পতাকাবাহী বিমান ‘রাজহংস’ উদ্বোধন করবেন।

বিমানের জনসংযোগ শাখার উপ মহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) তাহেরা খন্দকারও সারাবাংলাকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিকেল ৪টায় বিমানটি উদ্বোধনের সময় দিয়েছেন। উদ্বোধন হয়ে গেলে বিমানটি যাত্রী পরিবহন শুরু করবে।’

এর আগে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে ১৩ সেপ্টেম্বর ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে আসে ড্রিমলাইনার ‘রাজহংস’। সেখানেও লাল ফিতা কেটে নতুন ড্রিমলাইনারের যাত্রার উদ্বোধন হয়। বাংলাদেশ বিমানের পাইলট ক্যাপ্টেন শোয়েব চৌধুরী, ক্যাপ্টেন সরওয়ার, ফার্স্ট অফিসার জামিল ও আতিয়াব একটানা ১৫ ঘণ্টা চালিয়ে ড্রিমলাইনারটি ঢাকায় নিয়ে আসেন।

অবশ্য এর আগে ১২ সেপ্টেম্বরই নিয়ে আসার কথা ছিল বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি সম্বলিত ও সম্পূর্ণ নতুন বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ ‘রাজহংস’। কিন্তু রাডার ব্যবস্থাপনায় ত্রুটির কারণে অতিরিক্ত ৪৮ ঘণ্টা সময় চেয়েছিলো বোয়িং কোম্পানি।

নতুন উড়োজাহাজটি যুক্ত হওয়ার মধ্য দিয়ে বিমান বহরে উড়োজাহাজের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৬টি।

বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে যুক্ত হওয়া চারটি ড্রিমলাইনারের নাম পছন্দ ও বাছাই করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই। এগুলো হলো আকাশবীণা, হংসবলাকা, গাঙচিল ও রাজহংস। উল্লেখ্য, এর আগে ৪টি বোয়িং ৭৭৭-৩০০ ইআর, ২টি বোয়িং ৭৩৭-৮০০-ইআর এর নামও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিয়েছেন। সেগুলো হলো- পালকি, অরুণ আলো, আকাশ প্রদীপ, রাঙা প্রভাত, মেঘদূত এবং ময়ূরপঙ্খী।

টানা ১৬ ঘণ্টা উড়তে সক্ষম এই ড্রিমলাইনার চালাতে অন্যান্য বিমানের তুলনায় ২০ শতাংশ কম জ্বালানি লাগবে এমনটাই জানাচ্ছে বিমান কর্তৃপক্ষ ।  ‘রাজহংস’-এর আসন সংখ্যা ২৭১টি। এরমধ্যে বিজনেস ক্লাস ২৪টি আর ইকোনমি ক্লাসে ২৪৭টি আসন। বিজনেস ক্লাসে ২৪টি আসন ১৮০ ডিগ্রি পর্যন্ত রিক্লাইন্ড সুবিধা এবং সর্ম্পূণ ফ্ল্যাটবেড হওয়ায় যাত্রীরা আরামদায়কভাবে স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে ভ্রমণ করতে পারবেন। বিমানটিতে যাত্রীরা অন্যান্য আধুনিক সুবিধা, ইন্টারনেট ও ফোন কল করার সুবিধাও পাবেন।

উদ্বোধন ড্রিমলাইনার বাংলাদেশ বিমান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স রাজহংস শেখ হাসিনা