Sunday 29 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সিআইপি কার্ড পেলেন ১৮২ ব্যবসায়ী


১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২০:০৮

ঢাকা: রফতানি ও ব্যবসা বাণিজ্য গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৮২ জন ব্যবসায়ীকে সিআইপি কার্ড দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এদের মধ্যে ১৩৬ জন ব্যবসায়ীকে রফতানি ক্যাটাগরিতে এবং ৪৬ জন জন ব্যবসায়ী নেতাকে ট্রেড ক্যাটাগরিতে সিআইপি কার্ড দেওয়া হয়। ২০১৭ সালে ২২টি পণ্য খাতের মধ্যে ১৭টি পণ্য খাতে রফতানিতে অবদান রাখায় এই কার্ড দেওয়া হলো।

বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর হোটেল ইন্টার কন্টিনেন্টালে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সিআইপিদের মাঝে কার্ড প্রদান করেন। বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দিন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভাপতি তোফায়েল আহমেদ। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান বেগম ফাতিমা ইয়াসমিন।

বিজ্ঞাপন

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, দ্রুততম অর্থনীতির দেশ হিসেব বাংলাদেশ আজ বিশ্বের দরবারে পরিচিতি পেয়েছে। সবকিছুর পিছনে অবদান রয়েছে আজকের এই ব্যবসায়ীদের। বর্তমানে বাংলাদেশের রফতানি আয় ৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালে স্বাধীনতার রজতজয়ন্তী আমাদের রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আমার বিশ্বাস, ব্যবসায়ীরা এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে সক্ষম হবেন।

তিনি বলেন, ‘আমরা চাই, ক্ষুধামুক্ত দারিদ্র্যমুক্ত একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ। আজকের বাংলাদেশ সেদিকে এগুচ্ছে। আমাদের এই এগিয়ে যাওয়া অব্যাহত থাকবে।’

বিজ্ঞাপন

সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, ‘২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে আমরা রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছিলাম ৩৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। কিন্তু আমাদের অর্জন হয়েছিল ৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর ২০১৮-১৯ অর্থবছরে আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৪৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আমাদের অর্জন হয়েছে ৪৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।’

তিনি জানান, চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরে আমাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। আর ২০২০-২০২১ অর্থবছরে ৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।

তিনি বলেন, ‘আমাদের রফতানি আয়ের ৮৪ শতাংশ আসছে তৈরি পোশাকখাত থেকে। তবে এটি ভালো দিক নয়। কারণ আমাদের রফতানি পণ্য বহুমুখি করতে হবে। অন্যথায় ভেনিজুয়েলার মতো বিপদে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।’

এফবিসিসিআই সভাপতি শেখ ফজলে ফাহিম বলেন, ‘গত ১০ বছরে দেশ উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে। এ সরকার বিদ্যুৎ উৎপাদন ১৬০০ মেগাওয়াট থেকে ২০ হাজার ৮০০ মেগাওয়াটে উন্নীত করেছি। দারিদ্র্যবিমোচন ৪৬ শতাংশ থেকে ২১ শতাংশে নেমে এসেছে। রফতানি আয় ও মাথাপিছু আয় বেড়েছে। আমাদের প্রবৃদ্ধি ৮ শতাংশের উপরে আছে। আর এটি সম্ভব হয়েছে বেসরকারিখাতের উন্নয়নের কারণে।’

উল্লেখ্য সিআইপি মনোনিত ব্যক্তিরা কিছু সুবিধা পেয়ে থাকেন। তারা সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রবেশের জন্য প্রবেশপত্র ও গাড়ির স্টিকার প্রাপ্ত হন। দেশ বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে বিমান, রেলপথ, সড়ক ও জলপথে বিশেষ সুবিধা প্রাপ্ত হন। একজন সিআইপি‘র স্ত্রী, পুত্র, কন্যা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য অগ্রাধিকারভাবে কেভিন প্রাপ্ত হবেন। সিআইপির মেয়াদ এক বছর। তবে পরবর্তী বছরে সিআইপি ঘোষণার আগ পর্যন্ত তারা এই সুবিধিা পাবেন।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় রফতানি বাণিজ্য সিআইপি সিআইপি কার্ড

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ

সিনিয়র সাংবাদিক বদিউল আলম আর নেই
২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৬:৩১

সম্পর্কিত খবর