বুড়িগঙ্গার তীরের ৭ প্রতিষ্ঠানকে ইটিপি স্থাপনের নির্দেশ
১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২১:২৮
ঢাকা: দূষণের হাত থেকে বাচাঁতে তিন মাসের মধ্যে বুড়িগঙ্গার তীরে অবস্থিত সাতটি টেক্সটাইল কারখানায় ওয়াটার বর্জ্য শোধানাগার বা ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট (ইটিপি) স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে ওই সাত প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ সংযোগ দিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়া ৭টি প্রতিষ্ঠানের করা পৃথক সাতটি রিট আবেদনের ওপর প্রাথমিক শুনানি শেষে এ আদেশ দেন আদালত।
আবেদনের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন ব্যারিস্টার শফিক আহমেদ, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন ও ব্যারিস্টার মাহবুব শফিক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত দাস গুপ্ত।
তরল বর্জ্য ফেলে বুড়িগঙ্গার পানি ও পরিবেশ দূষণ করার অভিযোগে পরিবেশ অধিদপ্তর মিতা টেক্সটাইল, মেসার্স অভিজাত ডায়িং, চাঁদপুর টেক্সটাইল মিলস, শাহজাদি ডায়িং, মেসার্স ভরসা ডায়িং, লামিয়া টেক্সটাইল ডায়িং ও শামীম টেক্সটাইল ডায়িং বন্ধের নির্দেশ দেয়।
গত ১১ সেপ্টেম্বর পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে নোটিশ দেওয়ার পর ওইসব শিল্প প্রতিষ্ঠানের বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। এ অবস্থায় হাইকোর্টে রিট আবেদন করে ওই সাতটি প্রতিষ্ঠান।
শুনানিতে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম তীব্র বিরোধিতা করে বলেন, ‘বাংলাদেশ নদীগুলোর ওপর নির্ভরশীল। এই নদীগুলো দূষণ থেকে রক্ষা পায় না। নদী ক্ষতিগ্রস্ত হলে দেশ বাঁচবে না।
বুড়িগঙ্গা নদীতে যে সমস্ত কারখানার বর্জ্য স্যাঁতসেঁতে হচ্ছে তাদের কোনোভাবেই কার্যক্রম চালানোর অনুমতি দেওয়া যাবে না বলে মত দেন তিনি।
অন্যদিকে রিট আবেদনকারীর আইনজীবী আদালতে জানান, তাদের কারখানার বর্জ্য সংশোধনের জন্য ইটিপি স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ জন্য তাদের তিন মাস সময় দেওয়ার জন্য আদালতের কাছে সময় প্রার্থনা করেন। পরে আদালত এ আদেশ দেন।