খালেদ ডিবিতে, মামলার তদন্ত করবে ডিবি উত্তর
১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২৩:৫৮
ঢাকা: র্যাবের হাতে গ্রেফতার হওয়া যুবলীগ নেতা খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার রিমান্ড মঞ্জুর হওয়ার পর তাকে পুলিশের গোয়েন্দা শাখায় (ডিবি) নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গোয়েন্দা পুলিশই মাদক ও অস্ত্র আইনে তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা তদন্ত করবে।
বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাত পৌঁনে ১১টার দিকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের উপকমিশনার (ডিবি উত্তর) মশিউর রহমান সারাবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
মশিউর রহমান বলেন, খালেদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে দায়ের করা মামলার তদন্ত করবে ডিবি উত্তর। এরই মধ্যে মামলাগুলো গুলশান থেকে ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়েছে। খালেদকেও ডিবিতে নিয়ে আসা হয়েছে।
আরও পড়ুন- অস্ত্র-মাদকের মামলায় ৭ দিনের রিমান্ডে যুবলীগ নেতা খালেদ
এর আগে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় খালেদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর রাতে তাকে ঢাকা মহানগর মুখ্য হাকিম (সিএমএম) আদালতে নিয়ে যায় পুলিশ। আদালতে মাদক ও অস্ত্র আইনের মামলায় খালেদের সাত দিন করে রিমান্ডের আবেদন করা হয়। অন্যদিকে রিমান্ড বাতিল করে জামিন আবেদন করেন খালেদের আইনজীবীরা। বিচারক শুনানি নিয়ে অস্ত্র আইনের মামলায় চার দিন ও মাদক আইনের মামলায় খালেদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিকেল থেকেই খালেদের গুলশানের বাসা ঘিরে রাখে র্যাব। পরে সন্ধ্যায় তাকে আটক করা হয়। তার বাসা থেকে একটি অবৈধ অস্ত্র, লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ করা আরও দুইটি অস্ত্র, কয়েক রাউন্ড গুলি ও দুই প্যাকেটে চারশ পিস ইয়াবা জব্দ করে র্যাব। এছাড়া তার বাসার ওয়াল শোকেস থেকে ১০০০, ৫০০ ও ৫০ টাকার নোটের ১০ লাখ ৩৪ হাজার টাকা র্যাব জব্দ করে। চার থেকে পাঁচ লাখ টাকা সমমূল্যের মার্কিন ডলারও জব্দ করা হয় এসময়।
আরও পড়ুন- খালেদের নামে ৪ মামলা, অস্ত্র-মাদকে ৭ দিন করে রিমান্ড চাইবে পুলিশ
র্যাব-১-এর সিনিয়র এএসপি সুজয় সরকার জানান, বুধবার বিকেল ৪টা থেকেই গুলশান ২-এর ৫৯ নম্বর রোডের ৫ নম্বর বাড়িটি ঘিরে রাখে র্যাব। এই বাড়ির তৃতীয় তলার এ-৩ ফ্ল্যাটটি খালেদের। আটকের পর রাত ৮ টা ২৫ মিনিটে খালেদকে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নিয়ে যান র্যাব সদস্যরা।
এদিন বিকেলে খালেদের ইয়ং মেনস ক্যাসিনোতেও অভিযান চালান র্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে ১৪২ জন নারী-পুরুষকে আটক করা হয়। এর মধ্যে ৩১ জনকে একবছর ও বাকি ১১১ জনকে ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ক্যাসিনো থেকে জুয়ার প্রায় সাড়ে ২৪ লাখ টাকা জব্দ করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া বিপুল পরিমাণ মদ, বিয়ার, সিগারেটসহ নেশাজাতীয় বিভিন্ন দ্রব্য জব্দ করা হয় ওই ক্যাসিনো থেকে।
খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি ডিবি উত্তর মামলা তদন্ত রিমান্ড