প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ছাড়া রাস্তায় ছিনতাইও হয় না: গয়েশ্বর
২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ১৫:১১
ঢাকা: প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ছাড়া রাস্তায় একটা ছিনতাইও হয় না। তাই শুদ্ধি অভিযান কোনো নাটক কি না তা আগে জানতে হবে বলে মনে করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘দুর্নীতি-দুঃশাসন এবং বর্তমান বাংলাদেশ’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। নাগরিক অধিকার আন্দোলন ফোরাম এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ ছাড়া বাংলাদেশের রাস্তাঘাটে একটা ছিনতাইও হয় না। প্রধানমন্ত্রী জানে না এমন ঘটনা দেশে ঘটে না। তাই কে কোন নাটকে অভিনয় করছেন সেটা আমাদের বুঝতে কষ্ট হয়। এখন ওবায়দুল কাদের সহযোগিতা চাইছেন, সহযোগিতা আমাদের করার মতো কি আছে? সহযোগিতা একজন করতে পারেন যাকে আপনারা আটকে রেখেছেন। খালেদা জিয়া ১/১১ এর সময় তাদেরকে সহযোগিতা করেছেন। বেগম খালেদা জিয়ার ডায়েরিতে আছে যিনি অন্যায়কে অন্যায় বলতে পারেন। সেখানে রাজনীতির গুরুত্ব তিনি দেন না।
এই নেতা আরও বলেন, এখন লক্ষ ঘটনার মধ্যে ৩টি ঘটনা আসছে। শোনা যাচ্ছে ৮শ দুর্নীতিবাজদের তালিকা আওয়ামীলীগের কাছে দিয়েছে বিভিন্ন সংস্থা। ওবায়দুল কাদের পারেন এই ৮শ জনকে হাজির করে দিতে। তাহলে বোঝা যাচ্ছে পরিশুদ্ধ হওয়ার কিছুটা হলেও আপনাদের সদিচ্ছা আছে। তখন ভাল কাজ যে করতে চান সেটা কিছুটা হলেও প্রমাণ করতে পারবেন।
আমরা অবশ্যই প্রশংসা করবো এই চলমান প্রক্রিয়াকে। তবে ৩টি লোককে আটক করে লক্ষ লোককে আড়াল করার প্রচেষ্টা যদি হয় সেখানে আমরা প্রশংসা করতে পারব না। সেখানে আমাদের ধন্যবাদ দেওয়ার জায়গাটাও সংকুচিত হয়ে যায়। তবে সত্যিকার অর্থে এদেরকে আইনের আওতায় এনে বিচার করে প্রাপ্ত অর্থ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে যায় তাহলে অবশ্যই ধন্যবাদ দেব।
তাই বলতে হচ্ছে, এটা কি সরকারের উদ্যোগ নাকি দেশপ্রেমের আকুতি থেকে তাহাদের উদ্যোগ। যদি দেশপ্রেম থেকে হয় তাহলে তাদেরকে আমরা সর্বাত্মকভাবে সহযোগিতা করব। কিন্তু সরকারের নাটকীয়তা হয় তাহলে আমরা স্বাগত জানাতে পারব না। তবে ৩টি এন্টিবায়েটিকে কি সরকারের পঁচন থামবে? এরা বিএনপি করার সময় এদের পকেটে ১০ টাকা ছিলো না। বিএনপি যদি করে থাকে আগে তখন তো তারা ১০ টাকার মালিক ছিলো না। আওয়ামীলীগের যোগ দেওয়ার পরে হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক কিভাবে হলো।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাড. সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মুহাম্মদ রহমাতুল্লাহ, নাগরিক অধিকার আন্দোলনের উপদেষ্টা সাঈদ আহমেদ আলম প্রমুখ।