নির্বাচন কমিশন দায়ভার নেবে, রোহিঙ্গাদের এনআইডি প্রসঙ্গে শাহাদাত
২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ২২:০৩
চট্টগ্রাম ব্যুরো: নির্বাচন কমিশনের লাইসেন্স করা ল্যাপটপ ব্যবহার করে মিয়ানমার থেকে আসা রোহিঙ্গাদের ভোটার করা ও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) দেওয়ার ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন নির্বাচন কমিশনার অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শাহাদাত হোসেন চৌধুরী। এর দায়ভার অবশ্যই নির্বাচন কমিশন নেবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রামের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ল্যাপটপ নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘আমার জানামতে, ১০ হাজারের অধিক ল্যাপটপ কিনেছিলাম। যখন ভোটার তালিকা হালনাগাদ হয়ে যায়, মাঠপর্যায় থেকে সব ল্যাপটপ ফেরত চলে আসে। তখন অনেকগুলো ল্যাপটপ বিভিন্ন সরকারি অফিসে দিয়েছি, যেন কাজে লাগাতে পারে। আমার অত্যন্ত দুঃখিত, যদি একটা ঘটনাও ঘটে থাকে। সেটার জন্য নির্বাচন কমিশন অবশ্যই দায়ভার নেবে এবং আমরা অবশ্যই বের করে নেব কিভাবে হয়েছে।’
এনআইডি জালিয়াতির সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন এই নির্বাচন কমিশনার। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যদি এরকম কেউ থেকে থাকে তাদের বিরুদ্ধেও আইনানুগ ব্যবস্থা আমরা নেব। এখনো পর্যন্ত কেউ আমাদের নজরে আসেনি। যদি কখনো নজরে আসে কেউ বাদ পড়বে না, সবার বিরুদ্ধেই আমরা ব্যবস্থা নেব।’
নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা দুর্নীতিতে জড়িত হলে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না বলেও জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার শাহাদাত।
রোহিঙ্গাদের ভোটার করা নিয়ে আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘২০১৭ সাল থেকে যেসব রোহিঙ্গারা এসেছে তাদের বায়োমেট্রিকের যে তথ্য আছে সেটার সঙ্গে আমরা তথ্য ভাণ্ডারের ম্যাচ করি। তারপরেও সারাদেশের হালনাগাদের যে তথ্য আসবে সেটা পুরোটাকে রোহিঙ্গাদের তথ্য ভাণ্ডারের সঙ্গে ম্যাচ করব। যে নিয়মে তথ্য ভাণ্ডারে আপলোড করি এর বাইরে কোনো তথ্য যদি আসে প্রয়োজনে আমরা সেগুলো ব্লক করে ফেলবো। সেই ভোটারদের আলাদা করে তথ্য যাচাই করে রিলিজ করা হবে।’
‘জনপ্রতিনিধিদের কাছে অনুরোধ, বাংলাদেশের নাগরিক নয় সেরকম কেউ যদি ভোটার হওয়ার জন্য আসে তাদের তথ্য আমাদের জানানো হলে অবশ্যই আমলে নেওয়া হবে। একটা ওয়ার্কশপ করা হবে। সেখানে প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার প্রতিনিধিরাও থাকবেন। পুলিশ, গোয়েন্দা, স্পেশাল ব্রাঞ্চ ও এনএসআইসহ সবাইকে নিয়ে। একটা টেকনিক্যাল ও অন্যটা নন টেকনিক্যাল পার্ট। দুটো নিয়েই ওয়ার্কশপ করবো, যাতে রোহিঙ্গা বর্জিত একটি তালিকা করা যায়।’
শাহাদাত আরও বলেন, ‘আমার জানামতে খুব বেশি রোহিঙ্গা ভোটার তালিকায় নাই। চেষ্টা থাকবে যতখানি রোহিঙ্গামুক্ত করা যায়।’