ঢাকা: কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বর্তমান সরকারের পদত্যাগ দাবি করে বলেছেন, আওয়ামী লীগের মধ্যে এতো দুর্নীতিবাজ থাকলে সরকারের ক্ষমতায় থাকবার কোন অধিকার নেই। এমনিতেই এই সরকার জনগনের ভোটে নির্বাচিত হয়নি।
তিনি আরও বলেন, দেশ আজ সংকটের মুখোমুখি, দেশকে বাঁচাতে হলে অবিলম্বে জাতীয় সংলাপের আয়োজন করতে হবে।
সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে চলমান দুর্নীতি বিরোধী অভিযান সম্পর্কে ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেন, নির্বাচনের আগে আমরা সংলাপ চেয়েছিলাম, শেখ হাসিনা বাধ্য হয়েছিল সংলাপ দিতে। এবারও তাকে সংলাপ করতেই হবে। দেশকে বাঁচাতে হলে সংলাপ করতেই হবে। আওয়ামী লীগ নেতাদের ঠেকিয়ে দুর্নীতি মুক্ত করলেই চলবে না। সর্বক্ষেত্রে অভিযান চালাতে হবে। মানুষ এখন খালেদা জিয়ার দুই কোটি টাকার মামলার বিষয়টি আমলে নিতে চায় না। এখন জনগন বর্তমান সরকারের লোকজনের দুর্নীতিকেই আমলে নিচ্ছে।
তিনি বলেন, এই অভিযানকে আমরা সমর্থন করি তবে লোক দেখানো অভিযান হলে আমরা সমর্থন উঠিয়ে নেবো। বহিস্কার ও ভয় দেখানো মানেই বাংলাদেশ দুর্নীতি মুক্ত নয়। যারা ব্যবসা করে তারাও দুর্নীতি করে, শেয়ার বাজারে কারসাজি করে যারা কোটি কোটি টাকা আত্মসাত করে তাদেরকেও বিচারের আওতায় আনতে হবে।
‘জয় হিন্দ’ বলায় রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড.এম আবদুস সোবহানকে বহিস্কারের দাবি জানিয়ে বঙ্গবীর বলেন, এই দালাল-চাটুকার দল থাকলে সব অর্জন বিসর্জনে চলে যাবে।
প্রশাসনের ছত্রছায়া ও পৃষ্ঠপোষকতা ছাড়া রাজধানীর কেন্দ্রস্থলে মদ, জুয়া ও ক্যাসিনো সংস্কৃতির বিকাশের সুযোগ নেই। এখনো সুবিধাভোগিরা পর্দার আড়ালে রয়ে গেছেন। অবস্থাদৃষ্টিতে মনে হয় সমস্থ অপরাধের দায়ভার যেন কেবল যারা রাজনীতি করে তাদেরই, বাকী সবাই ধোয়া তুলসি পাতা। তাই প্রশাসনের মধ্যে সুবিধাভোগিদেরও চিহ্নিত করে গ্রেফতারের দাবী জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান বীর প্রতীক।
সারাবাংলা/এএইচএইচ/টিএস