Friday 04 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

সরকারি চাল বিক্রি হচ্ছে মুদি দোকানে!


৪ অক্টোবর ২০১৯ ২২:১১ | আপডেট: ৫ অক্টোবর ২০১৯ ১০:০৯
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

রাজবাড়ী: রাজবাড়ীতে একটি মুদি দোকান থেকে সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির (১০ টাকার চাল) ৫০ বস্তা চাল জব্দ করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে জেলা সদরের বসন্তপুর ইউনিয়নের মহারাজপুর মধ্যপাড়া গ্রামের শাহীন শেখের দোকান থেকে চালগুলো জব্দ করা হয়।

এতে নেতৃত্ব দেন রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) রোজাউল করিম ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) স্বপন কুমার মজুমদার। ঘটনার পর থেকে দোকানি শাহীন শেখ পলাতক। তার বাড়ি ওই গ্রামেই। শাহীন শেখের বাবার নাম হোসেন শেখ। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে শাহীন তার দোকানে সরকারি এই চাল বিক্রি করে আসছিলেন।

বিজ্ঞাপন

বসন্তপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মির্জা বদিউজ্জামান বাবু বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের রাজাপুরের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চালের ডিলার মতিন দীর্ঘদিন ধরে চাল বিতরণে অনিয়ম ও গোপনে চাল বিক্রি করে আসছিলেন। আমি ইউনিয়ন খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ও ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে বিষয়টি নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার লিখিত অভিযোগ করেছি। আজ (শুক্রবার) বিকেলে আমি জানতে পারি মতিনের গোডাউন থেকে ১০ বস্তা চাল ভ্যানে করে বিক্রির জন্য শাহীনের দোকানে নেওয়া হচ্ছে। এরপর আমি কয়েকজন ইউপি সদস্যকে নিয়ে শাহীনের দোকানের সামনে এসে তার ভাই ভ্যান থেকে চালের বস্তা নামিয়ে দোকানে রাখছে।’

আরও পড়ুন- ২৪ বস্তা গায়েব, চাল পাননি হতদরিদ্ররা

‘এসময় আমরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং থানায় জানাই। তখন শাহীনের ভাই তাড়াতাড়ি দোকানে তালা দিয়ে সটকে পড়ে। পরে পুলিশ শাহীনের পরিবারের অন্য সদস্য ও আমাদের উপস্থিতিতে দোকানের তালা ভেঙে ভেতর থেকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ৪০ বস্তা চাল উদ্ধার করে’— বলেন বদিউজ্জামান বাবু।

ভ্যানচালক আলাউদ্দিন বলেন, ‘মতিনের চালের গোডাউন থেকে শাহীন তার দোকানে ১০ বস্তা চাল পৌঁছে দিতে বলেন। আমি ভ্যানে করে নিয়ে আসি। দোকানের সামনে এলে ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বাররা ভ্যান এবং চাল আটক করেন।’

রাজবাড়ী সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আরিফুজ্জামান বলেন, এ ব্যাপারে থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।

এ ব্যাপারে কথা বলতে রাজাপুরের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চালের ডিলার মতিনের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমার গোডাউন থেকে কারো কাছে গোপনে এভাবে চাল বিক্রি করা হয়নি। যারা কার্ডধারী রয়েছেন, সব সময় তাদের মধ্যে সুষ্ঠুভাবে চাল বিতরণ করা হয়।’

১০ টাকা কেজি চাল খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি সরকারি চাল

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর