Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

মিরর-সানের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকলেন প্রিন্স হ্যারি


৫ অক্টোবর ২০১৯ ১২:১০

ফোন হ্যাকিংয়ের অভিযোগ এনে যুক্তরাজ্যের জনপ্রিয় দুই ট্যাবলয়েড সান ও ডেইলি মিররের মালিকের বিরুদ্ধে মামলা ঠুকেছেন সাসেক্সের ডিউক ‍যুবরাজ হ্যারি। বাকিংহাম প্যালেস থেকে জানানো হয়েছে, অবৈধভাবে ভয়েসমেইল মেসেজ চুরি করার ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় তথ্য-প্রমাণও হাজির করা হয়েছে।

সান ও মিররের প্রকাশকদের পক্ষ থেকেও যুবরাজ হ্যারির মামলা দায়েরের তথ্য স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। মিরর জানিয়েছে, তারা বিষয়টি জেনেছে, তবে তারা এ সংক্রান্ত কোনো চিঠি পায়নি। লিখিত কোনো নথি না পাওয়া পর্যন্ত তারা কোনো মন্তব্য করবে না।

বিজ্ঞাপন

বিবিসির খবরে বলা হয়, ২০১০ সালের এর ঘটনার জের ধরেই হ্যারি মামলা করেছেন সানের বিরুদ্ধে। তবে মিররের ক্ষেত্রে তিনি কোন সময়ের অভিযোগ তুলে ধরেছেন, সে তথ্য জানা যায়নি।

তবে বিবিসির বাকিংহাম প্যালেস প্রতিনিধি জনি ডায়মন্ড জানিয়েছেন, ২০০০ সালের শুরুর দিকে ফোন হ্যাকিংয়ের যে স্ক্যান্ডাল ছড়িয়ে পড়েছিল, সেটাই নতুন করে তুলে এনেছেন হ্যারি।

এর আগে, যুবরাজ হ্যারির স্ত্রী সাসেক্সের ডাচেস মেগান মার্কেলও গত সপ্তাহেই সানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। বাবাকে লেখা একটি চিঠি প্রকাশ করে দেওয়ায় ব্যক্তিগত তথ্যের বেআইনি ব্যবহারের অভিযোগে মামলাটি দায়ের করা হয়। ওই সময় হ্যারি ব্রিটিশ ট্যাবলয়েড পত্রিকাগুলোর বিরুদ্ধে ‘অবিরাম প্রোপাগান্ডা’ ছড়ানোর অভিযোগ করেন।

এক বিবৃতিতে হ্যারি বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গণমাধ্যমগুলো যেভাবে তাদের পেছনে লেগে খবর ছাপছিল, তা খুবই ‘পীড়াদায়ক’ প্রভাব ফেলেছে এবং তাদের আইনি পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করেছে। এসময় তিনি গণমাধ্যমের আচরণে তার মা প্রিন্সেস ডায়ানা’র মৃত্যুর ঘটনার প্রসঙ্গও টেনের আনেন। তিনি আশঙ্কা জানান, হয়তো ইতিহাসেরই পুনরাবৃত্তি ঘটবে।

বিজ্ঞাপন

প্রিন্স হ্যারি বলেন, আমি যাদের ভালোবাসি— তাদের পণ্য বানানো হচ্ছে বলে দেখতে পাচ্ছি। তাদের কোনোভাবেই ব্যক্তি হিসেবে গণ্যই করা হচ্ছে না।

মিররের বিরুদ্ধে অবশ্য সেলিব্রেটিদের অভিযোগের অন্ত নেই। হিউ গ্র্যান্ড, স্যার এলটন জন, এলিজাবেথ হারলি, হিদার মিলসের মতো তারকারা এই পত্রিকার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন বহুবার। সম্প্রতি তাদের কয়েকজনের সঙ্গে রফাও করেছে মিরর।

ফোন হ্যাকিংয়ের শিকার ব্যক্তিদের নিয়ে আন্দোলনকারী সংগঠন ‘হ্যাকড অফে’র সহপ্রতিষ্ঠাতা ব্রায়ান ক্যাথকার্ট বলছেন, প্রিন্স হ্যারি ও মেগান মার্কেলকে নিয়ে গণমাধ্যম কতটা বাড়াবাড়ি করেছে, তারই প্রমাণ তাদের আইনি পদক্ষেপ নেওয়া।

তিনি বলেন, বছরের পর বছর ধরে রাজ পরিবারকে নিয়ে মাতামাতি চলছে। তবে প্রিন্স হ্যারির জন্য এই অভিজ্ঞতাটি কেমন, তা আমরা বুঝতে পারি তার মায়ের (প্রিন্সেস ডায়ানা) পরিণতি থেকেই। কেবল প্রিন্স হ্যারি নয়, সেলিব্রেটিদেরও যে ব্যক্তিগত জীবন আছে, সেই ধারণা থেকে আমরা সম্ভবত দূরে সরে গেছি।

প্রিন্স হ্যারি মামলা মিরর যুবরাজ হ্যারি সান

বিজ্ঞাপন

আরো

সম্পর্কিত খবর