Saturday 05 Jul 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ছাত্রলীগ নেতার রুমে জেরা, সিঁড়িতে লাশ


৭ অক্টোবর ২০১৯ ১১:৫৬ | আপডেট: ৭ অক্টোবর ২০১৯ ১৩:৩৫
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঢাকা: বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে (২১) পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে। সোমবার (৭ অক্টোবর) ভোর চারটার দিকে বুয়েটের শেরেবাংলা হল থেকে ওই শিক্ষার্থীর মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এরই মধ্যে বুয়েট ছাত্রলীগের দুই নেতাকে আটক করা হয়েছে।

আবরার ফাহাদ শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন। তিনি ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও হলের আবাসিক শিক্ষার্থীরা জানান, রাত ১১টার দিকে আবরারকে ২০১১ নম্বর কক্ষে ডেকে নিয়ে যায় ছাত্রলীগের কয়েকজন। এর পর তাকে জেরা করতে করতে পেটাতে থাকে নেতা-কর্মীরা। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের আইনবিষয়ক উপসম্পাদক ও সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী অমিত সাহা, উপদপ্তর সম্পাদক ও কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মুজতাবা রাফিদ, সমাজসেবাবিষয়ক উপসম্পাদক ও বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী ইফতি মোশারফ ওরফে সকালসহ ছাত্রলীগের আরও কয়েকজন কর্মী সে দলে ছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা যাচ্ছে।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন: বুয়েটের আবাসিক হলে শিক্ষার্থীর মৃতদেহ, শরীরে আঘাতের চিহ্ন

শিক্ষার্থীরা আরও জানান, পরে ওই কক্ষে আবরারকে পেটানোয় অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক এবং মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী অনিক সরকার, ক্রীড়া সম্পাদক ও নেভাল আর্কিটেকচার অ্যান্ড মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের একই বর্ষের মেফতাহুল ইসলাম জিয়নসহ কয়েকজন৷ এর পর ফাহাদের নিথর দেহ সিঁড়ির নিচে ফেলে রেখে তারা পালিয়ে যায়।

পরে হলের অন্যান্য শিক্ষার্থীরা সিঁড়ির নিচ থেকে ফাহাদকে কেন্টিনে নিয়ে রাখে। এরপর হল প্রভোস্টকে খবর দেওয়া হলে তিনি এসে তাৎক্ষণিকভাবে বুয়েটের চিকিৎসককে ডেকে পাঠান। চিকিৎসক ফাহাদকে পরীক্ষা শেষে জানান, তিনি বেঁচে নেই। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হলে তারা এসে ফাহাদের মৃতদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে যায়।

এদিকে, খবর পেয়ে ফাহাদের দূরসম্পর্কের মামা মোস্তাফিজুর রহমান ভাগ্নেকে দেখতে আসেন। তিনি বলেন, ‘ফাহাদ খুবই ভালো ছেলে। সে গতকালই বাড়ি থেকে ঢাকায় এসেছে। তার কোনো শক্র থাকতে পারে বলে আমি বিশ্বাস করি না। আমি ভোর পাঁচটার দিকে খবর পেয়ে এখানে ছুটে এসেছি। আমাদের বলা হয়েছিল ফাহাদ অসুস্থ। কিন্তু এখানে এসে তার মৃতদেহ দেখতে পাই। তার শরীরে আঘাতের অনেক চিহ্ন রয়েছে।’

ফাহাদ বুয়েটের ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি শেরেবাংলা হলের ১০১১ নম্বর কক্ষে থাকতেন। তার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়া সদর উপজেলার মুক্তিযোদ্ধা রোডে। বাবার নাম বরকত উল্লাহ।

ছাত্রলীগ পিটিয়ে হত্যা বুয়েট শিক্ষার্থী হত্যা