Friday 22 Nov 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

যুবলীগ নেতা খালেদ ফের ৭ দিনের রিমান্ডে


৭ অক্টোবর ২০১৯ ১৭:৪৬

ঢাকা: ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক (বহিষ্কৃত) খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়াকে মাদক ও মানি লন্ডারিং আইনের পৃথক দুই মামালায় ফের সাত দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।

সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম সাদবীর আহসান চৌধুরী মানি লন্ডারিং আইনে চার দিন এবং আরেক মহানগর হাকিম কনক বড়ুয়া মাদক মামলায় তিন দিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেছেন।

এদিন মানিলন্ডারিং আইনের মামলায় সিআইডি পুলিশ দশ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। অন্যটি মতিঝিল থানায় দায়ের করা মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক সফিকুল ইসলাম আকন্দ আসামিকে গ্রেফতার দেখানোসহ সাতদিনের রিমান্ড আবেদনের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়।

আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ্য করেন, গত ১৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় র‌্যাবের বিশেষ অভিযানে খালেদের গুলশানের বাসা তল্লাশি করে অস্ত্র, মাদক ও বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি অস্ত্রসহ তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তিনি জানান, মতিঝিলের ইস্টার্ন কমলাপুর কমার্শিয়াল কমপ্লেক্সের পঞ্চম তলার ৪০২ নম্বর রুমে ভূঁইয়া গ্রুপ অব কোম্পানিজের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ওই ফ্ল্যাটে ব্যবসার আড়ালে মাদক ক্রয়-বিক্রয় ও সেবন করা হতো।

এসব তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম সাক্ষীদের সম্মুখে তার অফিসের বিভিন্ন কক্ষ তল্লাশি চালান। তল্লাশিকালে তার অফিস থেকে ১৯০ পিস ইয়াবা, দেশি ও বিদেশি বিয়ার, সিসা, গাঁজা উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, আসামির দখলে আরও বিপুল পরিমাণ সিসা, বিদেশি বিয়ার ও ইয়াবা ট্যাবলেট মজুদ আছ। তাই তাকে মামলাটিতে গ্রেফতার দেখানো পূর্বক রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য রিমান্ডের প্রার্থনা করেন এ তদন্ত কর্মকর্তা।

বিজ্ঞাপন

এসময় আদালতে খালেদের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী লিয়াকত আলী লিটন, হাসানসহ কয়েকজন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন আজাদ রহমান।

শুনানিতে আসামি পক্ষের আইনজীবীরা বলেন, খালেদ ইতোমধ্যে অন্য মামলায় পুলিশে কাস্টোডিতে রয়েছে। নতুন করে রিমান্ডে নেওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই। এছাড়া খালেদ একজন সম্ভ্রান্ত পরিবারের ছেলে। মামলায় ১৯০ পিস ইয়াবা উদ্ধারের কথা বলা হয়েছে। সেটা খালেদের শরীর থেকে পাওয়া যায়নি। অথচ এ মামলায় সাত দিনের রিমান্ড চেয়েছে তদন্ত কর্মকর্তা। খালেদ দীর্ঘদিন অসুস্থ ছিলেন। মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় আবার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। এতদিন রিমান্ডে নিয়ে কোনো তথ্য উদ্ধার হয়নি। মামলার কোনো অগ্রগতি হয়নি। শুধু রিমান্ডে নিচ্ছে আর আনছে। যে স্থান থেকে ইয়াবা উদ্ধার হয়েছে সেখানে তিনি ছিলেন। তার আগেই তাকে অন্য মামলায় গ্রেফতার করা হয়।

শুনানিতে আরও বলেন, শুধু পত্র-পত্রিকায় আসলেই মামলা বড় হয়ে যায় না। তাকে যে মাদক মামলায় রিমান্ড চেয়েছে এটা কোনো মামলা না। কয়েক দিন আগে সপরিবারে তিনি হজ করে এসেছেন। হজের পর ৪০ দিন না যাওয়ার আগেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এখানে রিমান্ডের যৌক্তিকতা নেই। রিমান্ডে নিয়ে তার জীবনটা শেষ করে দিচ্ছে। প্রয়োজনে তাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক।

এরপর বিচারক খালেদকে জিজ্ঞাসা করেন, আপনি কি অসুস্থ, কি কি ওষুধ খাচ্ছেন। উত্তরে খালেদ বলে, আজকে ১৯ দিন ধরে পুলিশের হেফাজত রয়েছি, আমার হাই পেশার ও ডায়বেটিসের সমস্যা রয়েছে, নিয়মিত ওষুধ খাচ্ছি। এরপর বিচারক মানি লন্ডারিং আইনের মামলায় শুনানি শেষে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

বিজ্ঞাপন

এর আগো গত ২৭ সেপ্টেম্বর অস্ত্র ও মাদক মামলায় ১০ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর বিকেল থেকেই গুলশানে খালেদের বাসা ঘিরে রাখে র‌্যাব। এ দিন সন্ধ্যায় তাকে আটক করা হয়। তার বাসা থেকে একটি অবৈধ অস্ত্র, লাইসেন্সের শর্ত ভেঙে করা আরও দুইটি অস্ত্র, কয়েক রাউন্ড গুলি ও দুই প্যাকেটে ৫৮২ পিস ইয়াবা জব্দ করে র‌্যাব।

এছাড়া তার বাসার ওয়াল শোকেস থেকে ১ হাজার, ৫শ ও ৫০ টাকার নোটের ১০ লাখ ৩৪ হাজার টাকা জব্দ করে র‌্যাব। ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা সমমূল্যের মার্কিন ডলারও এ সময় জব্দ করা হয়।

ক্যাসিনো খালেদ রিমান্ডে

বিজ্ঞাপন

নামেই শুধু চসিকের হাসপাতাল!
২২ নভেম্বর ২০২৪ ২২:০৬

আরো

সম্পর্কিত খবর