Saturday 28 September 2024
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

চিরনিদ্রায় শায়িত আবরার, জানাজায় হাজার মানুষের ঢল


৮ অক্টোবর ২০১৯ ১১:৩২

কুষ্টিয়া: বিজ্ঞানী হওয়ার ইচ্ছা নিয়ে মেডিকেল কলেজ ছেড়ে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বুয়েটে ভর্তি হওয়া সেই আবরার ফাহাদ শেষ নিদ্রায় শায়িত হয়েছেন গ্রামের বাড়িতে। কুমারখালীর কয়া ইউনিয়নের যে রায়ডাঙ্গা গ্রামে বেড়ে উঠেছিলেন, মেধাবী হিসেবে স্বীকৃতি কুড়িয়েছিলেন গোটা কুষ্টিয়ায়, সেই গ্রামেই দাফন হলো তার।

আরও পড়ুন- ফুটেজ হস্তান্তর করে তবেই ‘ছাড়া পেলেন’ পুলিশ কর্মকর্তারা

মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সকাল ১০টার দিকে তৃতীয় জানাজা শেষে সাড়ে ১০টার দিকে গ্রামের কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে আবরারকে।

আবরারের শেষ ওই জানাজায় তার স্বজন ও গ্রামবাসীসহ এলাকার সব স্কুল-কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, স্থানীয় রাজনৈতিক ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতাসহ সর্বস্তরের মানুষ অংশ নেন। এসময় তারা দ্রুততম সময়ে আবরারের হত্যাকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে স্লোগান দেন।

আরও পড়ুন- আবরার হত্যার বিচারসহ ৭ দফা দাবিতে বুয়েটে বিক্ষোভ

কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) মুস্তাফিজুর রহমান জানান, আবরারের দাফন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। ঢাকায় দায়ের হওয়া মামলায় লাগলে তারা সহযোগিতা করবেন।

এর আগে ভোর ৬টায় কুষ্টিয়া শহরের পিটিআই রোডে নিজ বাসভবনের সামনে আবারের দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান, শহর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ দলীয় নেতাকর্মী ও এলাকাবাসীরা অংশ নেন।

আরও পড়ুন- আবরার হত্যা: বুয়েট ছাত্রলীগের সম্পাদকসহ ১৯ জনের নামে মামলা

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) তড়িৎকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন আবরার ফাহাদ। শেরে বাংলা হলের ১০১১ নম্বর রুমের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি। রোববার (৬ অক্টোবর) রাতে তাকে রুম থেকে ডেকে নিয়ে যান বুয়েট ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা। ওই হলেরই ২০১১ নম্বর রুমে নিয়ে তাকে বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার তথ্য জানিয়েছেন ছাত্রলীগের নেতারাই। পরে আর রুমে ফিরে আসেননি আবরার। সোমবার (৭ অক্টোবর) ভোর ৪টার দিকে তার নিথর দেহ পাওয়া যায় হলের সিঁড়ির নিচে। তার পুরো শরীরে ছিল আঘাতের চিহ্ন। সহপাঠীদের অভিযোগ, ছাত্রলীগের নেতারা পিটিয়ে মেরে ফেলেছেন আবরারকে।

বিজ্ঞাপন

আরও পড়ুন- খাতায় অঙ্ক শেষ করতে পারেননি আবরার

সোমবার রাতে বুয়েটেই প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয় আবরারের। জানাজা শেষে তার মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় কুষ্টিয়ার বাড়িতে। অপেক্ষমাণ স্বজনরা আবরারের মরদেহ পৌঁছালে কান্নায় ভেঙে পড়েন। মা-বাবা, আত্মীয়-স্বজনসহ গ্রামবাসীর কান্নায় ভারী হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। পুরো এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।

আবরার ফাহাদের ছোট ভাই আবরার ফাইয়াজ বলেন, এইচএসসিতে দেশের সেরা ২০ শিক্ষার্থীর মধ্যে ছিল ভাইয়া। মা-বাবার ইচ্ছা ছিল ভাইয়া চিকিৎসক হবে। কিন্তু বিজ্ঞানী হওয়ার জন্য ভাইয়া মেডিকেল কলেজ ছেড়ে বুয়েটে ভর্তি হয়। পড়ালেখা ছাড়া কিছু বুঝত না। কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিল না। তবু ভাইয়াকে মরতে হলো। কেন মরতে হলো, আমরা জানতে চাই।

আরও পড়ুন-

‘ছেলেকে তো ফিরে পাব না, হত্যার বিচার যেন পাই’

বুয়েট ছাত্র আবরার হত্যায় ছাত্রলীগের ৯ নেতা আটক

শরীরে বাঁশ-স্টাম্পের আঘাত, অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণে মৃত্যু

আবরার হত্যা: বুয়েট ছাত্রলীগের ১১ নেতাকে স্থায়ী বহিষ্কার

বুয়েটের আবাসিক হলে শিক্ষার্থীর মৃতদেহ, শরীরে আঘাতের চিহ্ন

হত্যার ফুটেজ চান শিক্ষার্থীরা, বুয়েটে  ২ পুলিশ কর্মকর্তা অবরুদ্ধ

আবরার হত্যায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা জড়িত, স্বীকার বুয়েট সভাপতির

আবরারের জন্য সহপাঠীদের কান্না, দুপুর অবদি বুয়েটে আসেননি উপাচার্য

আবরার আবরার হত্যা আবরারের দাফন

বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
সম্পর্কিত খবর