পোশাকে স্থানীয় মূল্য সংযোজন হার ৩০ শতাংশ হলে ১ শতাংশ নগদ সহায়তা
১০ অক্টোবর ২০১৯ ২৩:৪৮
ঢাকা: তৈরি পোশাক শিল্পের যেসব রফতানিকারক নগদ সহায়তা পান না, তাদের চলতি অর্থবছরে ১ শতাংশ নগদ সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। নিজস্ব কারখানায় উৎপাদিত তৈরি পোশাক রফতানির বিপরীতে এই নগদ সহায়তা পারবেন উদ্যোক্তারা। এক্ষেত্রে সংশ্লিস্ট রফতানিতে স্থানীয় মূল্য সংযোজনের হার ন্যূনতম ৩০ শতাংশ হতে হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ), আমেরিকা ও কানাডায় রফতানির বিপরীতে বিশেষায়িত অঞ্চলে অবস্থিত টাইপ-সি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোক্তারাও এ সুবিধা নিতে পারবেন।
বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে।
চলতি অর্থবছরে ৩৭টি পণ্য ও খাতে নগদ সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে সরকার। এর মধ্যে নতুনভাবে তৈরি পোশাক খাতে ১ শতাংশ বিশেষ নগদ সহায়তা এবং কনজ্যুমার ইলেক্টনিক্স, ইলেকট্রিক্যাল হোম ও কিচেন অ্যপ্লায়েন্স পণ্য খাতে ১০ শতাংশ নগদ সহায়তা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের এক সার্কুলারের মাধ্যমে সরকারের এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
গত অর্থবছরেও ৩৫টি পণ্য ও খাতে নগদ সহায়তা দিয়েছিল সরকার। তবে এবারই প্রথমবারের মতো তৈরি পোশাক খাতে ১ শতাংশ বিশেষ নগদ সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা এলা। এই সুবিধা উদ্যোক্তারা কিভাবে পাবেন, তা নতুন সার্কুলারে তুলে ধরা হয়েছে।
সার্কুলারে অনুযায়ী, দেশীয় বস্ত্র খাতে শুল্ক বন্ড ও ডিউটি ড্র-ব্যাকের পরিবর্তে বিকল্প নগদ সহায়তা, বস্ত্র খাতের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের অতিরিক্ত সুবিধা, যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও ইইউ ছাড়া নতুন পণ্য বা বাজার সম্প্রসারণ সহায়তা, ইউরো অঞ্চলে বস্ত্র খাতে রফতানিকারকদের জন্য বিদ্যমান ৪ শতাংশের অতিরিক্ত বিশেষ সহায়তা ও ২ শতাংশ সহায়তা যারা পেয়ে আসছেন, তারা এই ১ শতাংশ বিশেষ নগদ সহায়তা পাবেন না।
সার্কুলারে আরও বলা হয়েছে, রফতানি করা পণ্যের হ্যান্ডেলিং, মানোন্নয়ন, প্রক্রিয়াজাতকরণের ব্যয়, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক পরিবহন এবং ফ্রেইট চার্জ পরিশোধ ব্যয়ের বিপরীতে ডব্লিউটিও বিধি অনুযায়ী এ নগদ সহায়তা দেওয়া হবে।