সরকারি চাকরি আইনের ৭টি ধারা বাতিল চেয়ে আইনি নোটিশ
১৩ অক্টোবর ২০১৯ ১৬:০৭
ঢাকা: সংবিধান লঙ্ঘন হওয়ায় সরকারি চাকরি আইন-২০১৮ এর সাতটি ধারা বাতিল চেয়ে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।
রোববার (১৩ অক্টোবর) রেজিস্ট্রি ডাকযোগে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ এ নোটিশ পাঠান। নোটিশে জাতীয় সংসদের স্পিকার, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, রাষ্ট্রপতি সচিবালয়ের সচিব, প্রধানমন্ত্রী সচিবালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন সচিব এবং আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দুই সচিবকে বিবাদী করা হয়েছে।
আইনি নোটিশে আইনজীবী উল্লেখ করেন- সাতদিনের মধ্যে সাতটি ধারা বাতিল করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে। তা না হলে হাইকোর্টে মামলা করা হবে বলে।
নোটিশে বলা হয়, ২০১৮ সালের ১৪ নভেম্বর অফিসিয়াল গেজেটে সরকারি চাকরি আইন-২০১৮ প্রকাশিত হয়। এই আইনের বিভিন্ন ধারা যথা: ৫ (২), ২৪ (১, ৩), ৩৫, ৩৯ (১, ২), ৪২ (১, ২, ৪), ৫১ (৪) এবং ৫৫ এর বিধানাবলিতে সরকারি চাকরিজীবীদের বিভিন্ন অধিকারের তারতম্য ঘটিয়ে এবং বিদ্যমান বিভিন্ন আইনের শর্তাবলির ব্যত্যয় ঘটিয়ে গত ২৫ সেপ্টেম্বর গেজেট প্রকাশ করে। গত ১ অক্টোবর থেকে আইনটি কার্যকর করা হয়।
এ আইনের ৫(২) ধারায় সরকারি কর্মচারীদের কাজের শর্তাবলি তারতম্যের বিধান করা হয়েছে। ধারা ২৪(১) এবং ৪২ (১, ২) এ আদালত অবমাননা আইনের বিধানের বিপরীতে বিধান করে আদালত অবমাননা আইনকে অকার্যকর করা হয়েছে। অন্যদিকে ধারা ৩৯ এ ফৌজদারী মামলার অভিযুক্ত কোনো কোনো সরকারি কর্মচারীকে বরখাস্তের বিষয়ে বিদ্যমান আইনের বরখেলাপ করে সরকারের হাতে অবাধ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে ধারা ৫১(১) এ দণ্ডপ্রাপ্ত /অসদাচরণে দোষী সাব্যস্ত কোনো সরকারি কর্মচারীর অবসর সুবিধা বাতিলের বিধান রাখা হয়েছে। এছাড়া রাষ্ট্রপতি কর্তৃক প্রদত্ত আদেশের বিরুদ্ধে কোনো আইনি পদক্ষেপ না রেখে ধারা ৩৫ এর বিধান করা হয়েছে। এসব বিধানাবলি সংবিধানের ২৭ অনুচ্ছেদ ও ৩১ অনুচ্ছেদসহ বিদ্যমান অনেক আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে করা হয়েছে বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে।