দীপন হত্যা: মেজর জিয়াসহ ৮ জঙ্গির বিচার শুরু
১৩ অক্টোবর ২০১৯ ১৭:৩২
ঢাকা: জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় বরখাস্তকৃত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়াসহ আট জঙ্গির বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে রোববার (১৩ অক্টোবর) আদালতের বিচারক মো. মজিবুর রহমান এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে আগামী ১৮ নভেম্বর সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ঠিক করেন আদালত।
চার্জশিটভুক্ত আসামিরা হলেন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের সামরিক শাখার প্রধান ও বরখাস্ত হওয়া মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়া, মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান, আবদুর সবুর সামাদ ওরফে সুজন ওরফে রাজু ওরফে স্বাদ, খাইরুল ইসলাম ওরফে জামিল ওরফে জিসান, আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন ওরফে শাহরিয়ার, শেখ আবদুল্লাহ ওরফে জুবায়ের ওরফে জায়েদ ওরফে জাবেদ ওরফে আবু ওমায়ের ও আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে আবদুল্লাহ।
আসামিদের মধ্যে জিয়াউল হক ও আকরাম হোসেন পলাতক। অভিযোগ গঠনের দিন বাকি ছয় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
চলতি বছরের ৩০ জুন মামলার পলাতক দুই আসামি বরখাস্তকৃত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়া ও আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে আবদুল্লাহকে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল।
গত ১৯ মার্চ আট আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট গ্রহণ করে পলাতক দুই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল। গত ১৮ ডিসেম্বর সিএমএম আদালতে এ চার্জশিট উপস্থাপন করা হয়।
২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর একই আদালতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মো. ফজলুর রহমান চার্জশিট দাখিল করেছিলেন।
চার্জশিটে বলা হয়, দীপনকে হত্যার নির্দেশদাতা, মূল পরিকল্পনা ও নেতৃত্বে ছিলেন পলাতক সৈয়দ জিয়াউল হক। আসামি খাইরুল, আবদুস সবুর ও মইনুলকে হত্যা মিশনে যাওয়ার আগে প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন।
২০১৫ সালের ৩১ অক্টোবর দুপুরের পর রাজধানীর শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটে জাগৃতি প্রকাশনীর কার্যালয়ে কুপিয়ে হত্যা করা হয় দীপনকে। একইদিন কাছাকাছি সময়ে লালমাটিয়ায় শুদ্ধস্বর প্রকাশনীর কার্যালয়ে ঢুকে এর স্বত্বাধিকারী আহমেদুর রশীদ টুটুল, লেখক সুদীপ কুমার ওরফে রণদীপম বসু ও প্রকৌশলী আবদুর রহমানকে দুর্বৃত্তরা কুপিয়ে ও গুলি করে হত্যার চেষ্টা করে।