ইয়াবা ব্যবসা: দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র
১৩ অক্টোবর ২০১৯ ২১:৩২
চট্টগ্রাম ব্যুরো: চট্টগ্রামে ইয়াবা উদ্ধারের মামলায় সাময়িক বরখাস্ত অবস্থায় থাকা দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিয়েছে সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট।
রোববার (১৩ অক্টোবর) বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর আদালতের প্রসিকিউশন শাখায় অভিযোগপত্রটি জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রাছিব খান।
অভিযোগপত্রে আসামি করা হয়েছে সিদ্দিকুর রহমান ও বাবলু খন্দকারকে। এদের মধ্যে সিদ্দিকুর চট্টগ্রাম নগর পুলিশে এবং বাবলু রেলওয়ে পুলিশে টাউন সাব-ইন্সপেক্টর (টিএসআই) পদে কর্মরত ছিলেন। ইয়াবাসহ গ্রেফতারের পর তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তারা এখন কারাগারে আছেন।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (প্রসিকিউশন) মো. কামরুজ্জামান সারাবাংলাকে বলেন, ‘অভিযোগপত্র পেয়েছি। যাচাই বাছাই শেষে আদালতে উপস্থাপন করা হবে।’
অভিযোগপত্রে উল্লেখ আছে, বাবলু খন্দকার ও সিদ্দিকুর একসঙ্গে সিএমপিতে চাকরি করেছিলেন। সেই সুবাদে তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা ছিল। তারা বিভিন্ন স্থান থেকে ইয়াবা সংগ্রহ করে চট্টগ্রামের বিভিন্ন স্থানে বিক্রি করতেন। ইয়াবাসহ সিদ্দিকুরকে গ্রেফতারের সময় সুযোগ বুঝে বাবলু সরে পড়ে গ্রেফতার এড়াতে সক্ষম হন। তবে পরে তিনি আর কর্মস্থল রেলওয়ে পুলিশে যাননি। পরবর্তীতে ঢাকায় র্যাবের হাতে গ্রেফতার হন।
সিদ্দিকুরের কাছ থেকে জব্দ করার ৮০ হাজার টাকা তাকে গ্রেফতারের কয়েকদিন আগে ঢাকার শান্তিনগরে এসএ পরিবহনের শাখা থেকে বাবলু চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ শাখায় সিদ্দিকুরের নামে পাঠিয়েছিলেন। আর টাকাগুলো সিদ্দিকুর এসএ পরিবহন থেকে সংগ্রহ করারও প্রমাণ পাওয়ার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে অভিযোগপত্রে।
তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই রাছিব খান সারাবাংলাকে বলেন, ‘তদন্তে ইয়াবা ব্যবসায় দুজনের জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া গেছে। মামলায় যদিও অজ্ঞাতনামা আসামির কথা বলা হয়েছে। কিন্তু তদন্তে দুজন ছাড়া আর কারও সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া যায়নি।’
চলতি বছরের (২০১৯) ১৪ জুন চট্টগ্রাম নগরীর ডবলমুরিং থানার সিজিএস কলোনি এলাকা থেকে র্যাব-৭ ও সিএমপি’র কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের যৌথ অভিযানে ১০ হাজার ইয়াবা ও ৮০ হাজার টাকাসহ গ্রেফতার করা হয় সিদ্দিকুর রহমানকে। গ্রেফতারের পর সিদ্দিকুরকে জিজ্ঞাসাবাদে টিএসআই বাবলু খন্দকারের নাম প্রকাশ হয়।
এরপর কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিটের এসআই সঞ্জয় গুহ বাদি হয়ে সিদ্দিকুর রহমান, বাবলু খন্দকার ও অজ্ঞাত একজনের বিরুদ্ধে ডবলমুরিং থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
এরপর গত ৩ জুলাই রাতে র্যাব-৪ এর সদস্যরা কাঁঠালের ভেতরে করে পাচারের সময় ১০ হাজার ইয়াবাসহ বাবলু খন্দকার ও তার স্ত্রী শিউলি আক্তারকে ঢাকার যাত্রাবাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। ১৭ জুলাই তাকে ডবলমুরিং থানার মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।