নন্দীগ্রামে ‘বিজলী প্লাসে’ বাম্পার ফলন, দামে খুশি কৃষক
১৪ অক্টোবর ২০১৯ ০৮:০৭
বগুড়া: বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলায় এবার মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। সেই সঙ্গে ভালো দাম পেয়ে খুশি কৃষক। কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, পৌর এলাকা এবং পাঁচটি ইউনিয়নে ৭শ’ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ হয়েছে। ছাড়িয়েছে মরিচ চাষের লক্ষ্যমাত্রা।
ফলন ভালো হওয়ায় ধান বাদ দিয়ে মরিচ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন কৃষকরা। উপজেলার ৫ নম্বর ভাটগ্রাম ইউনিয়নের বাদালাশন গ্রামের মরিচ চাষী জামিল হোসেন বলেন, এবার মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। এক সময় আমার জন্য অনেক কিছুই অসম্ভব ছিল। অনেক চাওয়া ছিল অপূর্ণ। আশা করছি এবার অনেক স্বপ্ন পূরণ হবে।
জামিল হোসেন জানান, তার নিজের পাঁচ বিঘা জমিতে উচ্চ ফলনশীন জাত ‘বিজলী প্লাস’ মরিচ লাগান। আষাঢ়ের প্রথম সপ্তাহ থেকেই জমি প্রস্তুত করতে শুরু করেছিলেন। নির্ধারিত মাত্রায় প্রয়োগ করেন ইউরিয়া সার, টিএসপি, পটাস, জিপসাম ও জৈব সার। জমি প্রস্তুত হয়ে গেলে মরিচের চারাগুলো সারিবদ্ধভাবে রোপন করেন। গাছগুলো একটু বড় হয়ে উঠলে যেন হেলে না পড়ে তাই বাঁশের কঞ্চি পুঁতে গাছের সঙ্গে বেঁধে দেন। জমি তৈরি, সার, চারা কেনা— সব মিলিয়ে খরচ হয় এক লাখ টাকা। সেই খরচ উঠে এসেছে অনেক আগেই। এরপরে লাভ করেছেন ১ লাখ টাকা।
মরিচ ক্ষেতে গেলেই চোখ জুড়িয়ে যায়। বাজারে এখন মরিচ বিক্রি হচ্ছে মণপ্রতি ১৫শ’ থেকে ১৬শ’ টাকা দরে। মরিচের বাজার যদি এমনই থাকে তাহলে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকার মরিচ বিক্রি করতে পারব— জামিল হোসেন।
রিধইল গ্রামের মান্নান, আব্দুল বাছেদ, শাহিন আলী, কাথম গ্রামের আনোয়ারসহ অনেকেই মরিচ চাষ করে সফলতার আশা করছেন। আবার তাদের দেখে অনেক কৃষক স্বল্প পরিমাণ জমিতে মরিচ চাষের উদ্যোগ নিয়েছেন। তারা জানান, ধানের চেয়ে মরিচ চাষ অনেক ভালো। পরিশ্রম কম, লাভ বেশি।
এ বিষয়ে নন্দীগ্রাম উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুহা. মশিদুল হক সারাবাংলাকে বলেন, এই এলাকায় মরিচ চাষ প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। উপজেলা কৃষি অফিসের তৎপরতায় কৃষকরা আবার মরিচ চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।