Saturday 07 Jun 2025
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ধর্ষণের মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে নিষ্পত্তির দাবি


১৫ অক্টোবর ২০১৯ ০০:০০
Sarabangla | Breaking News | Sports | Entertainment

ঢাকা: ধর্ষণের মামলা দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে নিষ্পত্তি করার দাবি জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস উদযাপন জাতীয় কমিটি। আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস উপলক্ষে সোমবার (১৪ অক্টোবর) জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে তারা।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা বলেন, শিশু যৌন নির্যাতন ও ধর্ষণের ঘটনা আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে চলেছে। দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচার করা না হলে এ ধরনের অপরাধ কমানো সম্ভব হবে না।

সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস উদযাপন জাতীয় কমিটির সভাপ্রধান শামীমা আক্তার। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান অধ্যাপক মমতাজ বেগম। সঞ্চালনা করেন সচিবালয় সমন্বয়কারী ফেরদৌস আরা রুমী।

বিজ্ঞাপন

সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন জাতীয় কমিটির সদস্য তামান্না রহমান। এছাড়া জাতীয় কমিটির সদস্য মাহবুব আলম ফিরোজ, ঢাকা জেলা কমিটির সম্পাদক সৈয়দা শামীমা সুলতানা, বাংলাদেশ কৃষক ফেডারেশনের সভাপতি বদরুল, ইক্যুইটিবিডি’র মোস্তফা কামাল আকন্দ বক্তব্য রাখেন।

ফেরদৌস আরা রুমী বলেন, দেশের ৫০টির বেশি জেলায় উদযাপন করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস। প্রতিবছরের মতো এবারো সারাদেশে র‌্যালি, সেমিনার, মানববন্ধন, মেলা আয়োজন এবং গ্রামীণ নারীদের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রাখার জন্য সম্মাননা প্রদান কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশে ২০০০ সাল থেকে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী ও উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) সম্পূর্ণ নিজেদের অর্থায়নে গ্রামীণ নারী দিবস উদযাপন করে আসছে।

ইক্যুইটিবিডি আন্তর্জাতিক গ্রামীণ নারী দিবস উদযাপন জাতীয় কমিটির সচিবালয় হিসেবে কাজ করছে।

মূল বক্তব্যে তামান্না রহমান বলেন, গত ছয় মাসে সারাদেশে ৫৭২ শিশু ধর্ষণ ও যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছে। ধর্ষণের পরে একটি ছেলেসহ ২৩ শিশুকে হত্যা করা হয়েছে। যৌন হয়রানির শিকার হয়েছে ৩টি ছেলেসহ মোট ৭৫ শিশু। গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে এই সংখ্যা নির্ণয় করা হয়েছে।

গবেষণা দেখা গেছে, শতকরা ৭৫ ভাগ শিশু যৌন হয়রানির শিকার হয় পরিবারের ঘনিষ্ঠজন, বন্ধু বা আত্মীয়দের মাধ্যমে। শিশু যৌন হয়রানির ঘটনাগুলো বেশির ভাগ বাড়িতে, আত্মীয় বা পারিবারিক বন্ধুদের বাড়িতে, স্কুলে বা স্কুলে যাওয়ার পথে এবং পরিচিত পরিবেশে ঘটছে। সাধারণত নিম্নবিত্ত পরিবারের শিশুরা যৌন নির্যাতনের শিকার হয় বেশি— বলেন তামান্না রহমান।

সৈয়দা শামীমা সুলতানা বলেন, একটি শিশুকে জানাতে হবে শরীরের কোথায় কোথায় স্পর্শ করলে তার চিৎকার করা উচিত। অভিভাবকদের জানানো উচিত।

জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান অধ্যাপক মমতাজ বেগম বলেন, শিশুদের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করে তার কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে। তাকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ও নির্ভরতা দিতে হবে।

নির্যাতনের শিকার শিশুদের সম্পর্কে মনোঃচিকিৎসকরা বলেছেন, যেসব শিশু যৌন নির্যাতনের শিকার হয়, পরবর্তী জীবনে তারা নানা ধরনের শারীরিক ও মানসিক সমস্যায় ভোগে। কেউ কেউ পরবর্তীতে যৌন নিপীড়কও হয়ে ওঠে। এই শিশুরা ট্রমায় থাকে বলে এদের বিশেষ সেবার প্রয়োজন হয়— বলেন শামীমা আক্তার।

ধর্ষণ যৌন নির্যাতন শিশু

বিজ্ঞাপন

আজ পবিত্র ঈদুল আজহা
৭ জুন ২০২৫ ০০:০২

আরো

সম্পর্কিত খবর