‘হত্যা করতে ঘুমন্ত তুহিনকে কোলে করে বাইরে নিয়ে যান বাবা’
১৫ অক্টোবর ২০১৯ ২০:৩৭
সুনামগঞ্জ: ঘুমে ছিল পাঁচ বছরের শিশু তুহিন। প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে সেই অবস্থায় তাকে কোলে করে ঘরের বাইরে নিয়ে যান তুহিনের বাবা আব্দুল বাছির। এরপর বাছিরের এক ভাই ও ভাতিজা, অর্থাৎ তুহিনের বাবা, চাচা ও চাচাতো ভাই মিলে তাকে হত্যা করেন। এরপর তার লাশ তারা ঝুলিয়ে দেন গাছের ডালে।
মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মিজানুর রহমান।
আরও পড়ুন- ঘর থেকে তুলে নিয়ে ৫ বছরের শিশুকে নির্মমভাবে হত্যা
পুলিশ সুপার বলেন, বাইরে নিয়ে যাওয়ার পর বাবার কোলে থাকা অবস্থাতেই তুহিনের চাচা ও চাচাত ভাই তার কান ও লিঙ্গ কেটে নেন। প্রচণ্ড ব্যাথায় শিশু তুহিন চিৎকার করে উঠলেও বাবা বাছির তার মুখ চেপে ধরে রেখেছিলেন।
এদিকে, মঙ্গলবার তুহিনের মা মিনারা বেগম বাদী হয়ে ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে দিরাই থানায় মামলা দায়ের করেন।
আরও পড়ুন- শিশু তুহিন হত্যায় মায়ের মামলা, বাবা-চাচাসহ ৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ
পুলিশ জানিয়েছে, তুহিনের বাবা আব্দুল বাছির; চাচা মাওলানা আব্দুল মোছাব্বির, জমসেদ মিয়া, নাছির ও জাকিরুল; চাচি খয়রুন বেগম এবং চাচাত বোন তানিয়াকে থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদেই পুলিশ তুহিনের হত্যাকারীদের পরিচয় জানতে পেরেছে। এরই মধ্যে দু’জন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন।
গত রোববার (১৩ অক্টোবর) রাতে সুনামগঞ্জের দিরাইয়ের রাজানগর ইউনিয়নের কাজাউড়া গ্রামে ঘর থেকে তুলে নিয়ে পাঁচ বছরের শিশু তুহিনকে হত্যা করা হয়। বাড়ির পাশে একটি গাছে কান ও লিঙ্গ কেটে নেওয়া অবস্থায় তার লাশ ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তার শরীরে ছিল ধারালো অস্ত্রের আঘাত, দু’টি ছুরি ঢোকানো ছিল তার পেটে।