মুসা বিন শমসেরসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
১৭ অক্টোবর ২০১৯ ১৯:৪৯
ঢাকা: মুসা বিন শমসেরসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কাযার্লয়-১ এর পরিচালক মীর জয়নুল আবেদিন শিবলী বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
যাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে তারা হলেন- ঝালকাঠি বিআরটিএ সহকারী পরিচালক মো. আইয়ুব আনছারী, মুসার শ্যালক মো. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী, কার্নেট সুবিধায় গাড়ি আনা ফরিদ নাবির, অটো ডিফাইন ও ফিয়াজ এন্টার প্রাইজ ও ফিয়াজ ট্রেডিংয়ের মালিক মো. ওয়াহিদুর রহমান।
দুদক সূত্রে জানা যায়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে ভুয়া রেকর্ডপত্র তৈরি করে তা বিআরটিএ ভোলায় দাখিল করে কার্নেট ডি প্যাসেজ সুবিধায় আনা ভোলা-ঘ-১১-০০৩৫ তথা রেজিস্ট্রেশনপূর্বক ক্ষমতার অপব্যবহার করে ফৌজদারি অপরাধ করেছেন।
অনুসন্ধানে দেখা যায়, কার্নেট ডি প্যাসেজ সুবিধায় ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী ফরিদ নাবির গাড়িটি বাংলাদেশে আনে এবং বিআরটিএ’র গাড়ি রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত তথ্য অনুযায়ী গাড়ির মালিক মো. ফারুক-উজ-জামান চৌধুরী। ২০১০ সালের ১২ মার্চের বাংলাদেশে আসে এবং শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর ২০১৭ সালের ২১ মার্চ গাড়িটি জব্দ করে।
শুল্ক আইন, ১৯৬৯ এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ অনুযায়ী ২ কোটি ১৫ লাখ ৬৫ হাজার ৮৩৩.৪৭ টাকা প্রযোজ্য শুল্ক কর ফাঁকির অভিযোগে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকির হোসেন বাদী হয়ে গুলশান (ডিএমপি) থানা, ঢাকায় একটি মামলা করেন। কিন্তু ভুয়া দলিলের ভিত্তিতে বিআরটিএ’র কর্মকর্তা ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রম সম্পন্ন করায় দুর্নীতির দায়ে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন, ২০০৪ অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ সংঘটিত হয়েছে।
দুদকের অনুসন্ধানে আরও দেখা গেছে, ভুয়া রেকর্ডপত্রের মাধ্যমে ড. মুসা বিন শমসের তার শ্যালক ফারুক উজ জামান চৌধুরীর নামে গাড়ীটি রেজিস্ট্রেশন করেছেন। ফারুক উজ জামান চৌধুরী বলেছেন, তিনি শুধু রেজিস্ট্রেশনের সময় ভোলায় গিয়েছিলেন মাত্র।
মুসা বিন শমসের শ্যালকের সঙ্গে ভাড়ার চুক্তিপত্র করলেও ফারুক উজ জামান চৌধুরী ভাড়ার চুক্তির বিষয়ে কিছু জানেন না। ফরিদ নাবির কার্নেট ডি প্যাসেজ সুবিধায় বিনা শুল্কে আনা গাড়িটি ড. মুসা বিন শমসের মেসার্স অটো ডিফাইন থেকে ফারুক উজ জামান চৌধুরীর নামে কিনে ভোলা বিআরটিএ থেকে রেজিস্ট্রেশন করেন।